দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- সল্টলেকে মাদক ব্যবসার হদিশ। ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করল রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। বাজেয়াপ্ত প্রায় সাড়ে তিন কেজি হেরোইন। বাজেয়াপ্ত ৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। প্রাথমিক তদন্তে রাজ্য পুলিশের এসটিএফের অনুমান, এই মাদক কারবারের সঙ্গে আরও অনেকেই জড়িত রয়েছে। ওই দম্পতিকে জেরা করে সমস্ত তথ্য পাওয়া যাবে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।এসটিএফ সূত্রে খবর পার্ক সার্কাসের একটি ঠিকানায় হানা দিয়ে ওই ব্যবসায়ির হদিশ পাওয়া যায়। বুধবার বিকেল পাঁচটা থেকে তল্লাশি চালায় পুলিস। ছাগলের ব্যবসার আড়ালে মাদকের ব্যবসা চালাত ওই ব্যক্তি।এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে প্রায় তিনদিন আগে পার্ক সার্কাসের একটি মাদকচক্রে প্রথম পুলিস হানা দেয়। সেই সময় বেনিয়াপুকুর থানার পুলিশ হানা দেয়। সেখানে হানা দিয়ে একজন ব্যক্তিকে আটক করা হয়। জানা যায় সে পেশায় মাদক পাচারকারী। তার কাছেই প্রথম জানা যায় সেই মাদক সে পেয়েছে বিধাননগর দক্ষিণ থানার অন্তর্গত একটি বাড়ি থেকে।সেই জায়গা থেকেই প্রথমে বেনিয়াপুকুর থানা এবং তারপরে রাজ্য পুলিসের এসটিএফ-এর নার্কোটিক শাখা তাঁদের কাছে বিধাননগর দক্ষিণ থানা এলাকার, সল্টলেক সেক্টর চারের, ৫বি, নাওভাঙার এই বাড়ির দিকে নজর পরে।এসটিএফ সূত্রে খবর, ওই ব্যবসায়ীর নাম মোমিন খান। তিনি এই আবাসনের পাঁচ তলায় বসবাস করেন। এই ফ্ল্যাটেই দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালাচ্ছে এসটিএফ। এই ব্যবসায়ী এলাকার মানুষজনের সঙ্গে খুব একটা কথা বলতেন না। বেনামি সম্পত্তি তথা আয়–বহির্ভূত টাকা রয়েছে জানতে পেরেই এসটিএফ ১২ জন প্রতিনিধি নিয়ে এখানে হানা দিয়েছে। মাদক চক্রের পাণ্ডা মহম্মদ মোমিন খান ও তাঁর স্ত্রী মেহতাব।ওই দম্পতিকে আটক করেছে এসটিএফ।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সুকান্তনগরে মোমিনের ফ্ল্যাটে হানা দেয় এসটিএফ। ফ্ল্যাটের বিভিন্ন জায়গা থেকে লুকনো মাদক ও টাকা উদ্ধার করে।সূত্রের খবর, প্রথমে পার্কসার্কাসের একটি বাড়িতে হানা দেন এসটিএফের গোয়েন্দারা। সেখান থেকেই এই ঠিকানা হাতে পান তাঁরা। তারপরই দু’টি গাড়িতে করে পুরো টিম নিয়ে এই বহুতলে আসেন। আর হানা দিয়ে সব খতিয়ে দেখেন তাঁরা। ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে বিলাসবহুল গাড়ি নিয়ে যাতায়াত ছিল অনেকেরই। তাই এই ফ্ল্যাটে সেই বিষয়টিই খোঁজ চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা। এই মাদক কোথা থেকে আনা হয়েছিল এবং কোথায় পাচারের পরিকল্পনা ছিল সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে | উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ চারজন বাংলাদেশিকে ধরেছিল। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান এদের সঙ্গে জঙ্গি–যোগ ছিল। গত শনিবার ধৃতদের গ্রেফতার করা হয় সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে। এরা সবাই চট্টগ্রাম ও খুলনার বাসিন্দা। এই চার অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশি জাল নথি তৈরি করে বেআইনিভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিল। এই ঘটনার সঙ্গে ব্যবসায়ীর কোনও যোগাযোগ রয়েছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।