অভিষেক সাহা :- নির্বাচনের আগেই আবারও উত্তপ্ত মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর। কিছুতেই পিছুছাড়ছে না শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল। কয়েকদিন পরই ঘোষনা হবে একুশের নির্বাচনের নির্ঘন্ট। তার আগেই তৃণমূল যুব কংগ্রেসের গোষ্ঠী দ্বন্দে তুমুল উত্তেজনা ছড়াল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর বিধানসভায়, তাও আবার থানার মূল ফটকে। সূত্রের খবর গতকাল রাতেই গোষ্ঠীদ্বন্দে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ওই এলাকা। পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে তা নিয়ন্ত্রণ আসে। আর এই ঘটনাকে ঘিরে অস্বস্তিতে শাসকশিবির, এমনকি কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরাও। এই ঘটনায় আক্রান্ত হয়েছে যুব তৃণমূলের দুই কর্মী কৌশিক সিংহ ও দীপক পাসওয়ান। তাদেরকে ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ, এমনকি মাটিতে লুটিয়ে লাথি চর-ঘুষি মারা হয় এমনটাই দাবি আক্রান্তদের। পরে সহগামীরা গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করান। গোটা ঘটনার পিছনে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মানিক দাসের নেতৃত্বে সাহেব দাস তাদের দলবল নিয়ে হামলা করেছে বলে অভিযোগ আক্রান্ত কৌশিক সিংহের। যদিও অপর গোষ্ঠীর যুব তৃণমূল নেতা সাহেব দাস গোটা ঘটনা সাজানো বলে দাবি করেছন।
সাহেবের অভিযোগ ও দাবি, ব্লক ১ যুব সভাপতি জিয়াউর রহমানের দলবল নেই। কর্মী শূন্য চলছে সভাপতির সভাপতিত্বে, তাই আমাদের ভয় দেখিয়ে জোর করে নিজের গোষ্ঠীতে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। রাতে যুব সভাপতি জিয়াউর রহমানের কিছু দলবল মদ্যপ অবস্থায় ছিল তারা নিজেরাই গন্ডোগোল লাগিয়েছে।সাহেব দাসের বিস্ফোরক মন্তব্যে জানা গিয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর -১ নং তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি জিয়াউর রহমান ওই বিধানসভার কংগ্রেসের বিধায়ক মোস্তাক আলমের আত্মীয়। তৃণমূলে থেকে লড়িয়ে দিচ্ছে জিয়াউর রহমান। নির্বাচনে সাফল্যটা জেনে কংগ্রেসের সাথে মিলে তাই কর্মীদের লড়িয়ে বিভাজন তৈরী করছে যুব সভাপতি জিয়াউর রহমান বলে বেস্যুরো হয়ে জানালেন যুব তৃণমূল কর্মী সাহেব দাস।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal