দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে তৃণমূল কংগ্রেস–বিজেপির মধ্যে সরাসরি সংঘর্ষে এবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল। বুধবার রাতে দু’পক্ষের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। মারামারি থেকে ভাঙচুর পর্যন্ত ঘটে। আর এই ঘটনার জেরে জখম হন তৃণমূল–বিজেপির বেশ কয়েকজন। এই ঘটনা চাউর হতেই রাতে নৈহাটি পুরসভার তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায়ের ছেলে অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়–সহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।বুধবার রাতে স্থানীয় বিজেপি নেত্রী শম্পা সরকারের স্বামী সৌমেন সরকারকে পুর চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায়ের ছেলে অভিজিৎ মারধর করেন বলে অভিযোগ। বিজেপি নেত্রী জানান, অভিজিৎ দলবল নিয়ে তাঁর স্বামীর উপর চড়াও হন। অভিজিতের হাতে ১৪টি সেলাই পড়েছে। তাঁকে কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চেয়ারম্যানের অভিযোগ, সৌমেন এবং তাঁর অনুগামীরা অভিজিতের উপর হামলা করে। বৃহস্পতিবার পুলিশ অভিজিৎকে গ্রেফতার করেছে। এদিন তাঁকে আদালতেও তোলা হয়। এদিকে এই ঘটনায় বিজেপির ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা সম্পাদিকা শম্পা সরকারের স্বামী সৌমেন সরকারের অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়। তাঁকে নৈহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতাল থেকে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেছেন চিকিৎসকরা। বিজেপির অভিযোগ, সৌমেন সরকারকে বেধড়ক পেটায় অভিজিৎ ও তাঁর বাহিনী। এই ঘটনায় রাতেই গেরুয়া শিবির থানায় অভিযোগ দায়ের করে। এই ঘটনার কিছু পরেই চেয়ারম্যানের ছেলেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আর অভিজিৎ নৈহাটি এলাকায় যুব তৃণমূলের নেতাও।এই মারামারির জেরে তৃণমূল কংগ্রেসের কয়েকজনও জখম হয়েছেন। এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য, অভিজিৎ যখন মোটরসাইকেল নিয়ে ফিরছিলেন তখন বিজেপির কর্মীরা তাঁর উদ্দেশে গালাগালি করতে থাকে। তারই প্রতিবাদ করলে শুরু হয় বচসা। তারপর সেটা গড়ায় মারামারিতে।
আজ, বৃহস্পতিবার ধৃতদের ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হবে। সেখানেই সব প্রমাণ হয়ে যাবে |তৃণমূল–বিজেপির সংঘর্ষে দু’পক্ষের পাঁচজন আহত হয়েছে। দু’পক্ষই নৈহাটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। এমনিতে নৈহাটি–সহ সংলগ্ন এলাকা গত কয়েক বছর ধরেই ঝামেলা–অশান্তি লেগে রয়েছে। তবে অর্জুন সিং বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর সেই মাত্রা কিছুটা কমেছিল। কিন্তু বুধবার রাতের ঘটনায় আবার নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। উত্তেজনা থাকায় এলাকায় চলছে পুলিশ টহল।