প্রসেনজিৎ ধর, হুগলি :-নিয়োগ দুর্নীতি থেকে বকেয়া ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মীদের দাবি দাওয়া নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। এরই মাঝে চাঞ্চল্য ছড়াল হুগলির বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর এক ফেসবুক পোস্ট।বকেয়া ডিএ’র দাবিতে সরকারি চাকরজীবীরা আন্দোলন জারি। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী কার্যত স্পষ্ট করে দিয়েছেন, এই মুহূর্তে দাবি পূরণ অসম্ভব। এরই মাঝে আন্দোলনরতদের আপত্তিকর ভাষায় আক্রমণ করলেন তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখলেন, “পাতে পোলাও আছে, তাও ঘিয়ের জন্য ঘেউ ঘেউ করছে একদল।” এই মন্তব্যের জেরে তীব্র কটাক্ষের শিকার হয়েছেন তিনি।বকেয়া ডিএ’র দাবিতে আন্দোলনকে একে বারেই ভাল ভাবে নিচ্ছে না রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী-সহ একাধিক মন্ত্রীর বক্তব্যে তা স্পষ্ট। এদিকে নিজেদের অবস্থান থেকে এক বিন্দু সরতে অনড় আন্দোলনকারীরা। জল গড়িয়েছে শীর্ষ আদালত পর্যন্ত। অর্থাৎ জটিলতা অব্যহত।
এরই মাঝে বুধবার সকালে ডিএ আন্দোলনকারীদের বিঁধে একটি ফেসবুক পোস্ট করেন বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। লেখেন, “একদল লোকের পাতে পোলাও-মাংস আছে। তাঁরা ঘেউ ঘেউ করছে। বলছে পোলাওয়ে ঘি কম। আরও ঘি ঢালতে হবে। আর একদল যারা খালি পেটে গামছা বেঁধে রাতে ঘুমাতে যায়। আমি সবদিন ওই না খাওয়া লোকটির জন্য লড়েছি আর লড়ব। ঘি বাবুর লড়াইয়ে সে হারবে না জিতবে আমার কিছু যায় আসে না।”এই মন্তব্যের জেরে তীব্র কটাক্ষের শিকার হয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক। কেউ লিখেছেন, “আপনার বিধায়ক ভাতা এলাকার ভাত না পাওয়া মানুষদের দান করুন। সেই নথি এখানে পোস্ট করুন। আর যে যে সরকারি সুবিধা ভোগ করেন সেগুলোও ছাড়ুন।” কেউ লিখেছেন, “বাম আমলে বিধায়কদের মাইনে কত ছিল আর আজ আপনি কত টাকা মাইনে তুলছেন মনে করুন ভেবেছিলাম আপনি ভদ্রলোক।” একজন আবার লিখেছেন, “মহাশ্বেতা দেবীর রেফারেন্সে লেখক হয়েছেন, মমতা দিদির অনুপ্রেরণায় বিধায়ক হয়েছে, এবার নিজের যোগ্যতায় মানুষ হবার চেষ্টা করুন।”পোলাও মাংস খাওয়া লোকের আরও চাই স্বভাবকে কটাক্ষ তৃণমূল বিধায়কের। কিন্তু এই ‘পোলাও মাংস খাওয়া লোক’ বলতে বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী কাকে কটাক্ষ করতে চেয়েছেন সেই নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। নেটিজেনদের একাংশের দাবি, নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়ে পড়া শাসক দলের কিছু নেতা-কর্মী তাঁর নিশানায়।