প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- পুরসভার চাকরিতে দুর্নীতির অভিযোগে তোলপাড় রাজ্য–রাজনীতি। অয়ন শীলের হাত ধরেই এই দুর্নীতি হয়েছে বলে ইডির দাবি। এই পরিস্থিতি আসার একবছর আগে চাকরিতে নিয়োগ সংক্রান্ত যে কোনও ফাইল সচিবালয়ে পাঠাতে হবে বলে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের সচিবালয় থেকে ডিএলবি’র (ডিরেক্টরেট অব লোকাল বডিজ) কাছে নির্দেশ পৌঁছে গিয়েছিল। আর এখন যা ঘটনা সামনে এসেছে তাতে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর তদন্ত শুরু করেছে। মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, “আমি গোটা বিষয়টার উপর নজর রেখেছি। দফতরকে বলেছি ইডি যে পুরসভাগুলোর দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছে তাদের থেকে ফাইল আনাও। কি হয়েছে, না হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে।”
উল্লেখ্য নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার অয়ন শীলের অফিসে তল্লাশিতে ইডির হাতে এসেছে নথি। সেখানে পাওয়া গিয়েছে পুরসভায় নিয়োগে এজেন্সির তৈরি ওএমআর শিট। যদিও এই মুহূর্তে রাজ্যের কোনও পুরসভাতেই এজেন্সির মাধ্যমে নিয়োগ হয় না। ২০১৯ সাল থেকেই বদলে গিয়েছে আইন। তবে কি বেআইনি নিয়োগ হয়েছে বাম আমলে?মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, ২০১৯ সালের পর নিয়ম বদলে গিয়েছে। আগে এজেন্সির মাধ্যমে ওএমআর সিট তৈরি হতো।
এখন মিউনিলিপ্যাল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে পুরসভায় নিয়োগ হয়। এদিকে ডিএলবি–কে একসময় নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, চাকরিতে নিয়োগ–সহ যে কোনও ফাইল সচিবালয়ে পাঠাতে হবে। তবে সেটা ঘটেছিল কিনা জানা যায়নি। এখন এমন দুর্নীতির প্রসঙ্গ সামনে আসায় তদন্তে নেমেছে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। এই সব দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না বলে ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তদন্ত অবশ্য ইডি করছে। কারণ কুন্তল ঘোষ এবং শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ, ধৃত প্রোমোটার অয়ন শীলের সংস্থা একাধিক পুরসভার নিয়োগে জড়িয়ে। আর সেই তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে ইডি | অন্যদিকে এবার থেকে পুরসভায় জেলাশাসকের তত্ত্বাবধানে গ্রুপ–ডি পদে নিয়োগের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন বিভাগকে বলে দিয়েছি, কী কী তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, সব দেখে নিতে। কী কাগজ আছে, তাও ভাল করে খতিয়ে দেখতে। তবে এখনও পর্যন্ত আদালত কোনও নির্দেশ না দেওয়ায় আগ বাড়িয়ে কিছু করতে যাচ্ছি না। কোনও দুর্নীতি হয়েছে কি না, তা পুরসভাগুলিকে দেখতে বলা হয়েছে।’