Breaking News

‘সমস্ত জায়গায় তদ্বির করেছেন সুজন-দিলীপ-শুভেন্দু’, আলিপুর আদালতে ঢোকার পথে বিস্ফোরক প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী!

প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- চাকরির জন্য সুজন চক্রবর্তী, দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীও তাঁর কাছে তদ্বির করেছিলেন বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন জেলবন্দি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার তিনি আদালতের বাইরে বলেন, যে সূজন চক্রবর্তী, শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষেরা বড় বড় কথা বলছেন, তাঁরা নিজেদের দিকে দেখুন। উত্তরবঙ্গে তাঁরা কী করেছেন। ২০০৯-২০১০ এর সিএজি রিপোর্ট পড়ুন। পার্থ বলেন, আমি তাঁদের বলেছি, আমি নিয়োগকর্তা নই। কাউকে কোনও সাহায্য করতে পারব না। এর পরই তিনি শুভেন্দু প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বলেন, শুভেন্দু অধিকারীর ২০১১-১২ সালটা দেখুন। ডিপিএসসিতে কী করেছিল দেখুন না। পার্থর দাবি, তিনি অয়ন শীলকে চিনতেন না। তাঁর কথায়, কোনও শীলকে চিনি না আমি। বৃহস্পতিবার আলিপুরে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদনের শুনানি রয়েছে। এদিন যখন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে আদালতে নিয়ে আসা হয়। আদালত কক্ষে ঢোকার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘যে সুজন চক্রবর্তী, দিলীপ বাবু, শুভেন্দু বাবুরা বড় বড় কথা বলছেন। তাঁরা নিজেদের দিকে দেখুন। উত্তরবঙ্গে তাঁরা কী করেছেন।

তারা ২০০৯, ১০ এর সিএজি রিপোর্ট পড়ুন। সমস্ত জায়গায় তদ্বির করেছে যেহেতু আমি তাদেরকে বলেছি করতে পারব না। আমি নিয়োগকর্তা নই। আমি এ ব্যাপারে কোনওরকম সাহায্য তো দূরের কথা, আমি কোনও কাজ বেআইনি করতে পারব না।’তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, অয়ন শীলকে তিনি চেনেন না। আদালতে ঢোকার মুখে তিনি বলেন, ‘কোনও শীলকে চিনি না।’ এদিন আলিপুর আদালতে পেশ করা হবে পার্থ-তাপস-কুন্তলকে। সিবিআই মামলার শুনানি হবে। এদিন পাঁচ মিনিট বলতে দেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। সূত্রের খবর, জামিনের আবেদন করতে পারেন নিয়োগ কাণ্ডে ধৃতরা। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার তিনি পাঁচ মিনিট সময় চেয়েছেন বিচারপতির কাছে। আদালতকে কিছু বলতে চান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেটা যাতে বলতে পারেন, সেই জন্য তিনি ওই সময় চেয়েছেন। গত জুলাই মাসের ২৩ তারিখ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছিলেন এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্টের গোয়েন্দারা।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *