প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী চাকরি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। তদন্তের আর্জি জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে। এদিন সেই প্রসঙ্গেই সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানালেন, ‘ওনার ইন্টারভিউ হয়েছিল কিনা তা স্পষ্ট নয়। তদন্ত হওয়া দরকার। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে করব। উনি মমতা সরকারের কাছ থেকে পেনশন নিচ্ছেন। মানে সরকারি কর্মচারী। এতদিন আমরা কিছু করিনি। সব জেনেও বলিনি। কারণ, আমাদের স্লোগান বদলা নয়, বদল চাই।’শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রী সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর চাকরি পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সিপিএমকে আক্রমণ করে বলেন, ওদের আমলেও নিয়োগে বহু দুর্নীতি হয়েছে। সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী পরীক্ষা দিয়েছিলেন কি না, তা স্পষ্ট নয়। এর জন্য তদন্ত প্রয়োজন আছে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেব তদন্ত হবে কি না। এদিন বাম আমলে নিয়োগে চিরকুটে চাকরি হতো বলেও দাবি করেন ব্রাত্য। তিনি বলেন, বামেরা কাজ না করে কুৎসা করে। সেইসময় চিরকুটে চাকরি হতো।
সিপিএমের কুৎসার হাত থেকে রাজীব গান্ধী থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেউ ছাড় পাননি। দুর্নীতির বীজ বাম আমলে রোপণ করা হয়েছিল বলে কটাক্ষ শিক্ষামন্ত্রীর।ব্রাত্য বসু আরও বলেন, ‘কালকের আগে অবধি জানতাম না সুজনবাবুর স্ত্রী ওখানে চাকরি করতেন। ১৯৭৯-তে কলেজ সার্ভিস কমিশন হয়। কিন্তু বাম সরকার গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডি-কে কলেজ সার্ভিস কমিশনের আওতায় আনেনি। রেজ্জাক মোল্লা বলেছেন, বেশিরভাগ পার্টি হোল টাইমারেরই সরকারি চাকরি বাঁধা ছিল। ৮৭ সালেও এই নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক ছিল। আমরা আগেই বলেছিলাম এখন যে দুর্নীতির কথা বলা হচ্ছে, তার বীজ বাম আমলে পোঁতা হয়েছে। এই মুহূর্তে যাঁরা ভোকেশনাল, তাঁদের অনেকের ক্ষেত্রেই এই জিনিস আছে। এখন তৃণমূল শ্বেতপত্র প্রকাশ করবে। সেই শ্বেতপত্র দেখে কেউ অভিযোগ করলে, তার তদন্ত হবে।’