দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পর বাড়ি থেকে খুব একটা বার হন না তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল। তাঁকে দিল্লিতে তলব করেছিল তদন্তকারী সংস্থা ইডি । যদিও আইনজীবী মারফত চিঠি দিয়ে কিছুটা সময় চেয়েছিলেন তিনি। এদিকে আপাতত আদালতের নির্দেশে অনুব্রতর ঠাঁই তিহাড়। এই অবস্থায় অনুব্রত-কন্যার ‘খোঁজ-খবর’ রাখার জন্য দলীয় নেতাদের একাংশকে নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সূত্রের খবর এমনটাই।তৃণমূল সূত্রে খবর, বৈঠকে বীরভূমের নেতাদের উদ্দেশে মমতা বলেন, “কেষ্ট এখন জেলে রয়েছে। তোরা ওর বাড়ির খোঁজখবর রাখিস। মেয়েটা একা আছে!”তৃণমূল সূত্রে খবর, এমনটা বলার সময়ে মুখ্যমন্ত্রীর গলায় সত্যিই স্নেহের ছোঁয়া ছিল।
তবে এই প্রথমবার নয়। এর আগেও একাধিকবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে অনুব্রতর কথা শোনা গিয়েছিল। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারির পর পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে পদ থেকে সরানো হলেও অনুব্রত মণ্ডলের ক্ষেত্রে একই পদক্ষেপ নেয়নি দল। তাঁকে বীরভূম সভাপতি পদে বহাল রেখেছে তৃণমূল। এমনকী, অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পরও একাধিকবার তাঁর নাম শোনা গিয়েছিল তৃণমূল নেত্রীর মুখে।নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারির পর পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে পদ থেকে সরানো হলেও অনুব্রত মণ্ডলের ক্ষেত্রে একই পদক্ষেপ নেয়নি দল। তাঁকে বীরভূম সভাপতি পদে বহাল রেখেছে তৃণমূল। এমনকী, অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পরও একাধিকবার তাঁর নাম শোনা গিয়েছিল তৃণমূল নেত্রীর মুখে।উল্লেখ্য, গত বছর গোরু পাচার মামলায় সিবিআই -এর হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল।গ্রেফতারের পর মমতা বলেছিলেন, “কেষ্টকে বীরের সম্মান দিয়ে ফিরিয়ে আনতে হবে।” অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পর তৃণমূলের একাধিক নেতা কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করার অভিযোগ তুলেছিলেন। সম্প্রতি তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত আদালতের নির্দেশে তিহারে আছেন তিনি।