প্রসেনজিৎ ধর :- শিক্ষার গুণগত মান এবং শিক্ষার্থীদের উন্নতমানের শিক্ষার পরিবেশ দেওয়ার জন্য এবার বাঁকুড়াজেলা ‘প্রাইম মিনিস্টারস অ্যাওয়ার্ড’পাচ্ছে। প্রোমোটিং কোয়ালিটি এডুকেশন ইউথ অ্যান্ড ইক্যুইটেবল অ্যান্ড ইনক্লুসিভ ক্লাসরুম এনভায়রনমেন্ট ক্যাটেগরিতে এই পুরষ্কার পাচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বাঁকুড়ার জেলাশাসক রাধিকা আইয়ারকে এই পুরস্কারের কথা জানানো হয়েছে।এবার প্রধানমন্ত্রীর নামাঙ্কিত পুরষ্কার আসছে বাংলায়। সেটাও দেওয়া হচ্ছে শিক্ষার মান এবং শিক্ষার পরিবেশ উন্নতির জন্য। তাই সমগ্র শিক্ষা মিশন প্রকল্পে ‘প্রাইম মিনিস্টারস অ্যাওয়ার্ড’ পাচ্ছে বাঁকুড়া জেলা। শিক্ষাক্ষেত্র নিয়ে যখন দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি নেতারা তখন এই পুরষ্কার প্রাপ্তি নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।এই পুরষ্কার প্রাপ্তির কথা বাংলাকে জানানোও হয়েছে। সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এবার বাঁকুড়ার জেলাশাসক কে রাধিকা আইয়ারকে এই পুরষ্কার প্রাপ্তির কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
‘প্রোমোটিং কোয়ালিটি এডুকেশন ইউথ অ্যান্ড ইক্যুইটেবল অ্যান্ড ইনক্লুসিভ ক্লাসরুম এনভায়রনমেন্ট’ ক্যাটেগরিতে এই পুরষ্কার পাচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। এই বাঁকুড়ায় বিজেপির সাংসদের নাম ডাঃ সুভাষ সরকার। তিনি আবার কেন্দ্রীয় সরকারের শিক্ষামন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী। তিনি নিজেও বাংলার শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে সমালোচনা করেন।‘ অর্থাৎ শ্রেণিকক্ষে শিক্ষাদানের অভিনব পদ্ধতি উদ্ভাবনের জন্য এই পুরষ্কার পাচ্ছে বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন বলে খবর। এই জেলাতেই অভিনব পদ্ধতিতে শিশুশিক্ষার ব্যবস্থা করেছে একাধিক স্কুল। শিশুদের যাতে অঙ্ক বিষয়ে আতঙ্ক না আসে তার জন্যও একাধিক মডেলে পড়ানোর উদ্যোগও নিয়েছেন বাঁকুড়ার একটি স্কুল। রাঙামাটির জেলার এই সাফল্য এখন সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তাই এই কাহিনী মলাটবন্দি করার জন্য জেলাশাসকের কাছ থেকে ১২০০–১৫০০ শব্দের একটি লেখাও চেয়ে পাঠানো হয়েছে। এই সমগ্র শিক্ষা মিশনে দেশের সেরা জেলাগুলিকে ‘প্রাইম মিনিস্টারস অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া হয়। যা পাচ্ছে বাঁকুড়া। আর এবার বিষয়গুলিকে মলাটবন্দি করে প্রকাশিত হয় ‘কফি টেবিল বুক’।