প্রসেনজিৎ ধর :- তৃণমূল কর্মীর নির্মীয়মাণ আবাসন থেকে উদ্ধার তাজা বোমা। কামারহাটি থানার পুলিশ ষষ্ঠীতলার ওই আবাসনে হানা দিয়ে বোমাগুলি উদ্ধার করে। ওই তৃণমূল কর্মী বিধায়ক মদন মিত্র ঘনিষ্ঠ বলেই খবর। অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী পলাতক। এই ঘটনা নিয়ে শুরু শাসক–বিরোধী তুমুল রাজনৈতিক তরজা। বোমা উদ্ধারের ঘটনায় জোর চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, কর্মীকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হচ্ছে।এদিকে কামারহাটি ষষ্ঠীতলায় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মদন মিত্রের ছায়াসঙ্গী রিন্টু নামে এক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর নির্মীয়মান আবাসন থেকে তাজা বোমা উদ্ধার করল কামারহাটি থানার পুলিশ।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে খোদ তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর বাড়িতে তাজা বোমা উদ্ধার হওয়ায় সমালোচনা হবেই। আজ, বৃহস্পতিবার এলাকার প্রত্যেকটি চায়ের দোকানে এই আলোচনা চলছে। যদিও এই বিষয়ে বিধায়ক মদন মিত্রের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।এই ঘটনা নিয়ে এখন রীতিমত তপ্ত হয়ে উঠেছে কামারহাটি। তাই স্থানীয় তৃণমূল নেতা কমল দাস বলেন, ‘বোমা যখন উদ্ধার হয়েছে পুলিশ নিশ্চিত তার কাজ করবে। আর মদন মিত্র আমাদের তৃণমূলের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব। বহুদিন ধরে তিনি রাজনীতি করছেন। আর তৃণমূলের জনপ্রিয় নেতারা যেখানেই যান সেখানে তাঁর পিছনে অনেকেই ঘোরেন। তার অর্থ এই নয়, যার বাড়িতে বোমা পাওয়া গিয়েছে তিনি মদন মিত্রের সঙ্গে ঘোরেন বলে তাঁর মদতে এই কাজ করবেন। তবে যেই করুক, উপযুক্ত শাস্তি অবশ্যই পাবেন।’ আর বিজেপি নেতা কিশোর কর বলেন, ‘কামারহাটি অঞ্চলে মদন মিত্র দুষ্কৃতীদের সঙ্গে নিয়ে ঘোরাফেরা করেন। তাই এই ধরনের ঘটনা ঘটবে এটাই স্বাভাবিক।’স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপি সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসের উপর দোষ চাপাচ্ছে। আবার তৃণমূল কংগ্রেস এটা বিজেপির ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছে। তবে এত তাজা বোমা কোথা থেকে এল? পুলিশ তার তদন্ত করছে। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কেন পালিয়ে গেলেন? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও কোনও উত্তর এখনও পায়নি পুলিশ।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal