দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- বাংলার মুকুটে ফের নয়া পালক। তাও আবার কেন্দ্রীয় সরকারের বিচারে। এবার দেশে বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে সামগ্রিকভাবে প্রথম হল পশ্চিমবঙ্গ। কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রকের অধীন সেন্ট্রাল ইলেকট্রিসিটি অথরিটি দেশের ২০৫টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের তুলনামূলক বিচার করে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, উৎপাদনের নিরিখে দেশের সেরা পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগম | বিদ্যুৎ উৎপাদনে নজির গড়ল বাংলা। সারা দেশে যত বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি উৎপাদন করে পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগম । এই সাফল্য রাজ্যের জন্য খুবই গর্বের, টুইট করে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘ডব্লিউবিপিডিসিএল বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে এক নয়া মাইলফলক তৈরি করেছে। যা রাজ্যের কাছে অত্যন্ত গর্বের একটি বিষয়।’বাংলার তিনটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, বিদ্যুৎ উৎপাদনে সেরা দশের তালিকায় রয়েছে। প্রথম স্থানেই রয়েছে বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সাঁওতালডিহির ও পঞ্চম স্থানে সাগরদিঘি। সেন্ট্রাল ইলেক্ট্রিসিটি অথরিটি প্রকাশিত এক বছরের হিসেবে বাংলাই রয়েছে শীর্ষে। ২০২২ সালের এপ্রিল মাস থেকে চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত কোন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কত বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে সেই নিরিখেই এই তালিকা প্রস্তুত করে সেন্ট্রাল ইলেক্ট্রিসিটি অথরিটি। সেই সূত্রে জানা গেছে, বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্লান্ট ফ্যাক্টর ৯২.৩৮ শতাংশ।
সাঁওতালডিহি ও সাগরদিঘির ক্ষেত্রে এই হিসেব যথাক্রমে ৯১.৩৭ শতাংশ ও ৮৯.৪৯ শতাংশ।এর আগে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রক রাজ্যের বিভিন্ন দপ্তর ও ক্ষেত্রকে পুরস্কৃত করলেও একসঙ্গে প্রথম পাঁচটির মধ্যে তিনটিই বাংলার সংস্থা হওয়া দক্ষতার বিচারে বিশাল সাফল্য বলে দাবি নবান্নের। ধারাবাহিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহের ক্ষেত্রে সেন্ট্রাল ইলেকট্রিসিটি অথরিটির বিচারে পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগম (ডব্লিউবিপিডিসিএল) দেশের সেরা হতেই সার্বিক সাফল্যের সংবাদে আত্মহারা বিদ্যুৎকর্মীরাও।স্বয়ং বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ‘বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগম পরিবার’-এর সকল সদস্যকে আন্তরিক অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানান। তাঁর কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিভাবকত্বে ডব্লিউবিপিডিসিএল পরিবারের সকলের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল এই সাফল্য।’’ তবে দপ্তরের সমস্ত ইঞ্জিনিয়র ও কর্মীদের সকলেই একবাক্যে স্বীকার করেছেন, বিভাগীয় মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের ধারাবাহিক নজরদারি এবং সার্বিক সমন্বয়ের জেরেই দেশের সেরা প্রথম পাঁচের তিনটি কেন্দ্রই বাংলার।