নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা :- অয়ন শীলের পুর নিয়োগ দুর্নীতির টাকা গিয়েছে কোন কোন প্রভাবশালীর কাছে? আদালতের কাছে সেই প্রভাবশালীদের নাম একে একে প্রকাশ করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট । এই পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে কুন্তল ঘোষ ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ও জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ ইডির। এদিন আদালতে ইডির আইনজীবী ফিরোজ এদুলজি বলেন, নগরোন্নয়ন দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর বিভাস চক্রবর্তীর মেয়ে ইমনের সঙ্গে যৌথ কোম্পানি খুলেছিলেন অয়নের ছেলে অভিষেক শীল। সেই কোম্পানির অধীনে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে শুক্লা পেট্রোল পাম্প নামে একটি পেট্রোল পাম্প কেনা হয়। এছাড়া একাধিক কারবারে যুক্ত ছিল সেই সংস্থা। ওই সংস্থার মাধ্যমে অয়নের নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। যদিও এই ঘটনায় বিভাস গঙ্গোপাধ্যায়ের যোগ মানতে চাননি অয়নের আইনজীবী। এদিনও আদালতে বিচারকের হাতে কেস ডায়েরি তুলে দেন ইডির আইনজীবী। কেস ডায়েরিতে প্রভাবশালীদের নাম খতিয়ে দেখেন বিচারক।
ওদিকে ইডির তরফে জানানো হয়েছে, অয়নের স্ত্রী কাকলি, ছেলে অভিষেক ও বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তীকে জেরা করতে চায় তারা। সেজন্য তাদের ইডি দফতরে তলব করা হয়েছে।পুরসভার দুর্নীতি নিয়ে ইডি তদন্ত শুরু করলেও সিবিআইকেও এই ব্যাপারে জানানো হয়েছে। ফলে সিবিআইও এই ব্যাপারে তদন্ত শুরু করতে পারে। তবে অয়ন শীলকে জেরা ও তাঁর সল্টলেকের অফিসে তল্লাশি করে ইডি যে নথি উদ্ধার করেছে, তাতে উঠে এসেছে টাকা লেনদেন সম্পর্কে প্রচুর তথ্য। তদন্তে জানা গিয়েছে, রাজ্যের প্রায় ৬০টি পুরসভার কর্মী নিয়োগ করে অয়ন শীলের সংস্থা। একেকটি পদের নিয়োগের জন্য চার থেকে আট লক্ষ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হত বলে অভিযোগ। সেইমতো পুর দুর্নীতি থেকে প্রায় ৪৫ কোটি টাকা ও এসএসসি দুর্নীতি থেকে অন্তত ৩৫ কোটি টাকা কমিশন হিসাবে তুলেছেন অয়ন।