Breaking News

সেফটিপিন ফোটানো স্বামীর অণ্ডকোষে!ঘরের ভেতর থেকে দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য

দেবরীনা মণ্ডল সাহা :-ছেলে ও স্ত্রীকে তাঁর বাপের বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে আসার পরদিনই রহস্যজনকভাবে যুবকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার। মৃতের অণ্ডকোষে ফোটানো ছিল সেফটিপিন। শরীরের নিম্নাংশ ভেসে যাচ্ছিল রক্তে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ওই যুবকের অণ্ডকোষে সেফটিপিন ফুটিয়ে খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুর থানার ফুলিয়ার মাঠপাড়া এলাকায়। যদিও ওই যুবকের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে পুলিশ ময়নাতদন্তের রিপোর্টের দিকে চেয়ে রয়েছে।তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের সন্দেহ

হয়তো তীব্র হতাশা, রাগ থেকে তিনি নিজেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন। তারপর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে মৃত্যু হয়েছে তার। মৃতের নাম মলয় বসাক।বৃহস্পতিবার স্ত্রীকে বাবার বাড়িতে দিয়ে এসেছিলেন মলয়। ঘরে বিশেষ কেউ ছিলেন না। আর শুক্রবার বাবার বাড়ি থেকে ফিরে এসে মলয়ের স্ত্রী দেখলেন বিছানায় পড়ে রয়েছে স্বামীর দেহ। অণ্ডকোষে সেফটি পিন ফোটানা।
তবে স্থানীয়দের দাবি, আত্মহত্যার নানা ধরনের ঘটনা দেখা যায়। কিন্তু এভাবে অণ্ডকোষে সেফটি পিন ঢুকিয়ে নিজের মৃত্য়ুকে তরাণ্বিত করার ঘটনা সচরাচর দেখা যায় না।পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, এই মৃত্যুর পেছনে রয়েছে তীব্র দাম্পত্য কলহ। তার পরিণতিতেই এই ভয়াবহ ঘটনা।মলয়ের মা মালতী বসাক থাকেন তাঁর মেয়ের বাড়িতে। রোজগার করে সংসার চালানোর জন্য নিজে ছেলেকে টোটো কিনে দিয়েছিলেন তিনি। ছেলের সঙ্গে তার পুত্রবধূর ঝগড়া অশান্তি হত কিনা, তা তিনি স্পষ্ট জানেন না। স্থানীয়দের দাবি, মলয়ের স্ত্রীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থাকতে পারে বলে সন্দেহ করতেন। তার ফলে স্ত্রীর সঙ্গে খুব একটা বনিবনা ছিল না। মাঝেমধ্যেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হত। যদিও কী নিয়ে অশান্তি হত, তা স্পষ্ট নয়।মলয়ের মৃত্যুতে একাধিক প্রশ্নের ভিড়। মলয় আত্মহত্যা করেছেন নাকি তাঁকে খুন করা হয়েছে? দ্বিতীয় প্রশ্ন, স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ার কারণে মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে মলয় যদি গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যাই করে থাকেন, তাহলে তাঁর অণ্ডকোষে সেফটিপিন ফোটানো কেন? তৃতীয় প্রশ্ন, মলয় বসাকে যদি খুনই করা হয়ে থাকে, তাহলে তার কারণ কী? খুনিই বা কে? পুলিশ মৃত মলয়ের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। মলয় বসাকের পর্নের প্রতি আসক্তি ছিল বলেই দাবি তাঁর স্ত্রীর। তবে কী যৌন উত্তেজনার বশে এই কাজ করেছেন মলয়, উঠছে প্রশ্ন।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *