প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- জাতীয় দলের তকমা ফিরে পেতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ফোন করার অভিযোগ খারিজ মুখ্যমন্ত্রীর| বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমার ফোন করার কথা প্রমাণ করতে পারলে, আমি মুখ্যমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দেব। আর যিনি অভিযোগ করেছেন, তিনি তা প্রমাণ না করতে পারলে ইস্তফা দেবেন তো? তাঁর দলের অন্য নেতারা পদত্যাগ করবেন তো? গতকাল সিঙ্গুরের সভায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, “দলের সর্বভারতীয় তকমা সরতেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করেছিলেন অমিত শাহকে। জাতীয় তকমা ফিরিয়ে দেওয়ার আরজি জানাতে চারবার ফোন করেন। কিন্তু অমিত শাহজী স্পষ্ট জানিয়ে দেন তা সম্ভব নয়। নির্বাচন কমিশন যা করেছে নিয়ম মেনেই করেছে।” শুভেন্দুর সেই অভিযোগ নিয়ে আলোড়ন শুরু হতেই পালটা সাংবাদিক বৈঠক করে অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন মমতা।
মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিলেন, তিনি কোনও ফোন করেননি। তৃণমূল নেত্রীর বক্তব্য, “আমি অমিত শাহর পদত্যাগ দাবি করেছি। তাঁর আচরণ, কথাবার্তা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলভ নয়।”শুভেন্দুর এই বিস্ফোরক অভিযোগ নিয়ে মঙ্গলবার রাতেই তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ প্রতিক্রিয়ায় বলেন, শুভেন্দু মানসিক বিকার ঘটেছে। বরং শুভেন্দুই ২০০৯ সালে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ার জন্য মমতাদি’র পা ধরেছিলেন। বুধবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সাংবাদিক বৈঠকের প্রধান বিষয়ই ছিল শুভেন্দুর অভিযোগ সংক্রান্ত। তিনি অবশ্য শুভেন্দুর নাম একবারও নেননি। মমতা বলেন, বিজেপির কোন এক ভুঁইফোঁড় নেতা বলেছেন, আমি নাকি তৃণমূলের জাতীয় তকমা পাওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চার বার ফোন করেছি। আমি কেন ফোন করতে যাব। ওই ভুঁইফোঁড় নেতা তা প্রমাণ করতে পারবেন তো? মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আসলে মিথ্যে কথা বলা বিজেপির অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছে। এ সব কথা বলে তণমূল সম্পর্কে মানুষের কাছে ভুল বার্তা দেওয়া হচ্ছে।