দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- বৃহস্পতিবার আবারও কলেজ পরিদর্শনে একক হাজির হলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। উল্লেখ্য, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বা শিক্ষা দফতরকে না জানিয়ে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যপালের সারপ্রাইজ ভিজিট এবং একক সিদ্ধান্তে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।এদিন তিনি হঠাৎ করেই যান সংস্কৃত কলেজে | তারপর কর্মীদেরকে দিয়ে খোলান লাইব্রেরি | ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের কক্ষ পরিদর্শন করেন তিনি | ভালো ভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালাতে পরিচালন কমিটিকে নির্দেশ দেন ‘আচার্য’ | সংস্কৃত কলেজে দাঁড়িয়ে সংবাদমাধ্যমকে রাজ্যপাল বলেন, ‘এটা সারপ্রাইজ ভিজিট নয়। উৎসাহ দিতেই আমি এসেছিলাম। আর বারবার আসব।’ এখন একসপ্তাহ স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি রয়েছে। তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে বলেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে পঠনপাঠন বন্ধ রয়েছে। আর সেই ফাঁকে রাজ্যপাল পরিদর্শন করছেন।গত ১৬ এপ্রিল শিক্ষা দফতরকে না জানিয়ে নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যপাল।
আবার উপাচার্যদের সাপ্তাহিক রিপোর্ট জমা দিতে বলেছিলেন। এমনকী শিক্ষাবিদদের রাজভবনে ঢেকে জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে আলোচনা করেন। সবটাই নবান্ন এবং বিকাশ ভবনকে গোপন রেখে। গত ১৮ এপ্রিল কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে হস্তক্ষেপ করেছিলেন রাজ্যপাল। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (নিবন্ধক)কে বরখাস্ত করেছিলেন উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী। রাজ্যপাল তথা আচার্য গত মঙ্গলবার সেই রেজিস্ট্রারকেই নির্দেশ দিয়েছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা কাটাতে কোর্ট মিটিং ডাকার। জানা গিয়েছে, সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেন রাজ্যপালও। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দাবি, কোর্ট মিটিং ডাকার অধিকার আছে উপাচার্যের, নিবন্ধকের নেই। সেই দিনের পরে কেটেছে মাত্র ১ দিন। তারপরেই সংস্কৃত কলেজে ‘একা’ই গেলেন রাজ্যপাল।