দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসকে সরাসরি আক্রমণ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার সকালে নিউ টাউনের ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে আসেন দিলীপ ঘোষ। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। মুকুল রায় থেকে শুরু করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেলা সফর সব বিষয়েই শাসক দলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রামে সংযোগ যাত্রাকে কটাক্ষ করেছেন মেদিনীপুরের সাংসদ। তাঁর কথায়, ‘এর রেজাল্ট কি? দুয়ারে সরকারে কর্মচারী নেই। লক্ষীর ভাণ্ডারে আর দেওয়ার মতো টাকা নেই। দিদির দূত সব ভগ্ন দূত হয়ে গিয়েছে। লোকে গাছে বেঁধে আটকে রাখছে গ্রামে গ্রামে। এত দুর্নীতি করলে মানুষ তো বটেই, ভগবানও সঙ্গে থাকে না। তাই আজ কেউ নেই। বিচার ব্যবস্থাও পাশে নেই। তাই চেষ্টা করছে মানুষকে ভুলিয়ে রাখতে। উনি জীবনে প্রথমবার গ্রামে যাবেন। রাহুল যেমন গ্রামে গিয়ে এবারই প্রথম সূর্যোদয় দেখল। গ্রামের মানুষ কিরকম হয় উনি সেদিন পার্লামেন্টে বলছিলেন। ৫০ বছর বয়সে উনি ডিসকভারি অফ ইন্ডিয়া করলেন। এখানেও তাই। যুবরাজ ৪০ বছর বয়সে সবাইকে দর্শন দিতে যাবেন।
অথচ উনি গ্রামের থেকেই প্রতিনিধি। এবার গ্রাম দেখতে যাবেন।’মুকুল রায় প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন , ‘নেবো কিনা জানি না। কে নেবে তাও জানি না। ওর মধ্যে আর কিছু বাকি নেই। নিয়ে কার লাভ তাও ঠিক নেই। পার্থ বলে দল আমার সঙ্গে আছে। আছে কি আদৌ? মুকুল বলছে আমি ওর সঙ্গে আছি। আছে কি? মুকুল বলেছে বিজেপিতে ছিলাম, আছি, থাকব। উনি বলছেন সিপিএমকে তাড়াতে হবে। ওনার মাথা ঠিক আছে কি? এখানে কি সিপিএম আছে? কার হয়ে বলছেন? সেটা আগে ঠিক হোক। উনি অসুস্থ। নিজে বলছেন, আমি ঠিক আছি। ছেলে বলছে বাবা পাগল। আগে বাপ ছেলে ঠিক করুক কে কি? তারপর পাবলিক ঠিক করবে।’অমিত শাহকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোন প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের দাবি, ‘এতে প্রমাণ করার কি আছে? ওরা সর্বভারতীয় নাকি আঞ্চলিক, তাতে মানুষের কি যায় আসে? রাজ্যের মানুষ পেটে গামছা বেঁধে আছে। অন্য রাজ্যে গিয়ে চাকরি খুঁজে বেড়াচ্ছে। সেই তো এখানে কাটমানি আর দুর্নীতি চলছে’।