দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- আগামী ২৫ এপ্রিল থেকে সংযোগ যাত্রা কর্মসূচি শুরু করতে চলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তিনি নয়া কর্মসূচি নিয়ে এলেন। যার নাম, ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’। এই কর্মসূচি দু’টি ভাগে শুরু হচ্ছে। প্রত্যেকদিন হবে ‘জনসংযোগ’ এবং ‘গ্রাম বাংলার মতামত’। আজ, বৃহস্পতিবার নয়া কর্মসূচি উপলক্ষ্যে দু’টি লোগো এবং একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করা হয়েছে। ইদের পর থেকেই নির্বাচনী প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়বেন অভিষেক।সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান, ”নিজেদের পছন্দের প্রার্থী বেছে নেওয়ার সুযোগ এর আগে বাংলা কেন, ভারতে কখনও কোথাও হয়নি। এটা হবে মানুষের পঞ্চায়েত। ৬০ হাজার গ্রামীণ বুথে মানুষের মতামতের ভিত্তিতে প্রার্থী বাছাই হবে। গোপন ব্যালটে আপনারা পছন্দের প্রার্থীকে আমি দু’মাস রাস্তায় থাকব। কলকাতায় ফিরব না।” ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচির একটি অংশ ‘গ্রামবাংলার মতামত’। কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ পর্যন্ত চলবে এই জনসংযোগ যাত্রা। সামগ্রিক কর্মসূচির রূপরেখা ঠিক করে দিলেন অভিষেক। তাঁর কথায়, ‘জনসংযোগের পর ক্যাম্প অধিবেশন হবে। সেখানে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন বুথ সভাপতি এবং সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বরা। নৈশভোজের সঙ্গে রাত কাটবে মানুষের সঙ্গে। প্রত্যেক ক্যাম্পে জমায়েত হবে প্রায় ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার।
এখানেই সাধারণ মানুষ ঠিক করবেন কাকে প্রার্থী হিসেবে তাঁরা দেখতে চান। তাঁদের মতামত নেওয়া হবে গোপন ব্যালট ভোটের মাধ্যমে। বুথ, সমিতি, জেলা পরিষদের প্রার্থী হিসেবে মানুষ যাকে চাইবেন তাঁকেই দল প্রার্থী করবে।’এদিন অভিষেক জানিয়েছেন, ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচী দুটি ভাগে বিভক্ত। প্রথমত, জনসংযোগ যাত্রা, দ্বিতীয়ত, গ্রামবাংলার মতামত। জনসংযোগ যাত্রার আওতায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে সভা করবেন তিনি। গ্রাম বাংলার মতামতে, জেলা থেকে বুথ সভাপতি এবং এলাকার বিশিষ্ট মানুষজনকে ডাকা হবে। একটি ক্যাম্পে গোপন ব্যালটে পঞ্চায়েতে প্রার্থী নিয়ে মতামত জানতে চাওয়া হবে। সেখানে ভোটদান করা যেতে পারে প্রার্থী প্রসঙ্গে। এক্ষেত্রে নাম বা পরিচয় সম্পূর্ণ গোপন থাকবে। যদি কেউ ভোটদান করতে না পারেন সেক্ষেত্রে অনলাইনেও প্রার্থী প্রসঙ্গে মতামত জানানো যাবে। www..tnj Official.com-এ অনলাইনেই প্রার্থী প্রসঙ্গে মতামত জানানো যাবে। কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ পর্যন্ত এই যাত্রা হবে দুই মাস জুড়ে। আগামী ২৫ তারিখ থেকে দুই মাস পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে। আর এই দুই মাস পথেই থাকবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে যাবেন তিনি। গ্রামে গ্রামে মানুষের সমস্যার কথা শুনবেন তিনি। প্রয়োজনে দ্রুত সমস্যা সমাধানের উপায়ও বাতলাবেন তিনি।