সঞ্জয় কাঁপরি,পূর্ব মেদিনীপুর:- প্রায় ছ বছর পর কাঁথিতে সভা করলেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায় | কাঁথিতে তাঁর বক্তব্যের প্রতিটি শব্দের নিশানায় ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী | শুভেন্দু কেন তৃণমূল ছাড়লেন, শুভেন্দুর খাসতালুকে দাঁড়িয়ে সে কথাই ‘ফাঁস’ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় |
জেলার পর্যবেক্ষক পদ তুলে দেওয়ার কারণেই রাগে শুভেন্দু ‘সাত তাড়াতাড়ি’ বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন বলে দাবি ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদের |শুভেন্দুকে নিশানা করে অভিষেক বলেন, “ওনার কেন এত গাত্রদাহ তা কি বুঝি না | অবজারভার মডেল তুলে দেওয়ার জন্য রাগ হয়েছে | কেন অন্য জেলা থেকে নেতা এসে দেখবে | জেলার নেতারাই তো রয়েছেন | আসলে উনি তো পূর্ব মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, মালদহ, উত্তর দিনাজপুরের অবজারভার ছিলেন |এ জেলায় ১৬টি বিধানসভা আসন | মুর্শিদাবাদে ২২টি, মালদহে ১২টি, উত্তর দিনাজপুর ৯টি | উনি ভেবেছিলেন এখান থেকে ৩০-৩৫টা জিতে বিধায়কদের নিয়ে বিজেপিতে যোগ দেবেন | তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করা হবে| কিন্তু সে গুড়ে তো বালি পড়ে গিয়েছে | তাই এত রাগ।”এদিন অধিকারী-পুত্রকে এক হাত নিয়ে অভিষেক বলেন, “এখানে তো অধিকারী অ্যান্ড কোম্পানি সবটা নিয়ে বসেছিল | এক বাড়িতে এতগুলো পদ|আর তোমার যখন এতই রাগ, নাও এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসেছেন | নেত্রী তো নিজে নন্দীগ্রাম থেকে দাঁড়াচ্ছেন | এবার গ্রামের মানুষই মুখ্যমন্ত্রীকে নির্বাচিত করবেন | “সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন ফেরার হওয়ার আগে একটি চিঠি লিখেছিলেন | সেই চিঠি এদিন কাঁথির দইসাইয়ের সভায় তুলে ধরে অভিষেক বলেন, সুদীপ্ত সেন আদালতকে চিঠি লিখেছেন, “৬ কোটি টাকা নিয়েছে শুভেন্দু অধিকারী শুভেন্দু রাখাল নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় করান|”
অভিষেকের আরও হুঙ্কার “বারবার শুনছি, এটা নাকি অধিকারীদের গড় | কীসের অধিকারী! এটা মানুষের গড় | মানুষের জেলা। ক্ষমতা থাকলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে দেখাক |”