প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :-বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগ উঠেছে কলকাতা কর্পোরেশনের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। ঘটনায় প্রাক্তন কাউন্সিলরের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ স্থানীয়দের। প্রাক্তন কাউন্সিলরকে মারধরও করে বিক্ষোভকারীরা। মেটিয়াবুরুজে কলকাতা কর্পোরেশনের ১৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। খবর পেয়ে মেটিয়াবুরুজ থানা এবং রাজাবাগান থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এলাকায় উত্তেজনার ফলে পুলিসবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। রহমত আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁর বাড়ির সামনে নিজের পার্টি অফিসের পিছনে সিএসসির বিদ্যুৎ ট্রান্সফরমার থেকে তিনি বিদ্যুৎ চুরি করছেন এবং সেই চুরি করা বিদ্যুৎ মানুষকে বিক্রি করার পাশাপাশি নিজের বাড়ির সমস্ত বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম চালাচ্ছেন। এমনকী তাঁর কারখানার কয়েকটি মেশিনও চুরি করা বিদ্যুতে চলছে বলে অভিযোগ। প্রথমে স্থানীয় এক ব্যক্তি বিদ্যুৎ চুরির খবর জানতে পারেন। তিনি রবিবার প্রাক্তন কাউন্সিলরের মিটার ঘরটি দেখতে পেয়ে ১৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর ওয়াসিম আনসারীকে খবর দেন। ওয়াসিম আনসারী তাঁর লোকজন নিয়ে সেখানে গিয়ে দেখতে পান ঘরের দরজা বন্ধ। তখন মিটার ঘরের দরজা ভেঙে ভেতর ঢুকে তাঁরা দেখতে পান ওই মিটার ঘরে বেশ কয়েকটি ফিউজ রয়েছে। সেই ফিউজের নির্দিষ্ট জায়গায় ট্রান্সফরমার থেকে বিদ্যুৎ আসছে। সেই বিদ্যুৎ বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করা হচ্ছে।
অভিযোগ, বর্তমান কাউন্সিলর প্রাক্তন কাউন্সিলরের বাড়িতে গেলে তাঁর ওপর চড়াও হন রহমত আলম। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়।বর্তমান কাউন্সিলরের সমর্থকরা প্রাক্তন কাউন্সিলের বাড়ির সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, অভিযুক্ত রহমত আলম আনসারী বেশ কয়েক বছর ধরেই এরকম ভাবে বিদ্যুৎ চুরির কাজ করে চলেছে। তাঁদের দাবি, এই অপরাধে রহমত আলম আনসারী দৃষ্টান্তমূলক যেন শাস্তি হয়। ইতিমধ্যে বর্তমান কাউন্সিলর ওয়াসিম আনসারীর তরফ থেকে বিদ্যুৎ চুরি করার জন্য মেটিয়াবুরুজ থানাতে একটি অভিযোগ করা হয়েছে রহমত আলম আনসারির বিরুদ্ধে। যদিও এই বিষয়ে অভিযুক্ত প্রাক্তন কাউন্সিলর রহমতে আলম আনসারীর বক্তব্য, তিনি কোনওরকম বিদ্যুৎ চুরি করেননি। এমনকি কে বা কারা এই কাজ করেছে তিনি তাও জানেন না।