দেবরীনা মণ্ডল সাহা :- এবার বীরভূমের বাড়ি থেকে চিকিৎসকের অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার হল। এই ঘটনায় ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। কারণ তাঁর বাড়ির ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করা ছিল না। তাছাড়া দেহ শুধু অর্ধনগ্ন ছিল না, বরং চিকিৎসকের হাত–পা বাঁধা ছিল। তাই এটাকে খুন বলেই অনেকে মনে করছেন। দেহটি মেঝেতে পড়েছিল। এই ঘটনা প্রথম নজরে আসে এক প্রতিবেশীর। তারপর তিনি সবাইকে ডেকে আনেন। এলাকার মানুষ পুলিশে খবর দিলে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ কর্মীরা।বীরভূমের নলহাটির ঘটনা। সেখানে চার নম্বর ওয়ার্ডের রেল গেটের কাছ থেকে উদ্ধার হয় মৃত চিকিৎসকের দেহ। তাঁর নাম মদন লাল চৌধুরী।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই চিকিৎসক নলহাটিতে একাই থাকতেন। তাঁর পরিবার থাকে কলকাতায়। এ দিন, দোতলার ঘর থেকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার হয় দেহ। এলাকাবাসী খবর দেয় পুলিশকে। ঘটনাস্থলে আসে নলহাটি থানার পুলিশ। মৃতদেহটিকে পাঠানো হয় ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে। তবে কীভাবে চিকিৎসকের মৃত্যু হল সেই বিষয়ে ধন্দে রয়েছে পুলিশও।স্থানীয় এক প্রতিবেশী বলেন, “আমি একটি চাবির জন্য উপরে যাই। সেই সময় গিয়ে দেখি দরজা ভেজানো অবস্থায় রয়েছে। দরজা ঠেলে দেখি উনি পড়ে রয়েছেন। আমি ছুটে নিচে চলে আসি।” আরও এক বাসিন্দা বলেন, “উনি অনেক দিন থেকেই ডাক্তারি করছেন। এসে শুনি মৃত্যু হয়েছে। আমাদের মনে হচ্ছে হয়ত ওনাকে কেউ খুন করেছে।”এই চিকিৎসকের রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে এখন এলাকায় জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। নলহাটি থানার পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে। তবে এটা খুন নাকি অন্য কিছু নেপথ্য রয়েছে সেটা নিয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। কীভাবে চিকিৎসকের মৃত্যু হল? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে এলাকায়।