প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- কালিয়াগঞ্জে আদিবাসী নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনে ঘটনায় কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত কালিয়াগঞ্জ। মৃত নাবালিকার দেহ তুলে নিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্রকে করে এলাকার মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ছিলই। আজ তা ভয়ঙ্কর আকার নিল। ওই ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলনে নামে রাজবংশী তপসিলি ও আদিবাসী সংগঠনগুলির সমম্বয় কমিটি। সেই আন্দোলেন নেমে বিক্ষোভকারীরা থানায় ঢুকে তোলপাড় করে। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় থানায়। পাশাপাশি থানা চত্বরের একাধিক জায়গায় আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। কালিয়াগঞ্জে নাবালিকার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরেই উত্তাল এলাকা। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি ও এসপির পদত্যাগের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই অশান্তি চলছে এলাকায়। মঙ্গলবার বিকেলে কালিয়াগঞ্জের প্রতিবাদ মাঠে একটি কর্মসূচি ছিল আদিবাসী সম্প্রদায়ের। সেখান থেকেই এসপির পদত্যাগের দাবিতে কালিয়াগঞ্জ থানা চত্বরে পৌঁছন তাঁরা। থানা ঘেরাও করে তাঁরা। মুহূর্তে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। থানার ভিতরে আগুন জ্বালিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধরা। দাউ দাউ করে জ্বলে থানা। কোনওক্রমে থানা থেকে বের হন কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বেশ কয়েকটি গাড়িতে। জখম হন ২ পুলিশ কর্মী। পরিস্থিতি আয়ত্তে আসে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে পুলিশ |মঙ্গলবার ওই বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে পুলিসের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের খণ্ডযুদ্ধে বেধে যায়। বারবার পুলিশ আন্দোলনকারীদের দিকে তেড়ে গেলেও জনতাকে ঠেকিয়ে রাখতে হিমসিম খেয়ে যায় পুলিশ ।
ব্যারিকেড ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় জনতা। বৃষ্টির মতো ইট এসে পড়তে থাকে পুলিশের উপরে। বিক্ষোভকারীরা থানার পাঁচিল ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। পাশাপাশি থানা চত্বরে বেশকিছু জায়গায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া যায়। প্রসঙ্গত, আদিবাসী সংগঠনগুলি আজ এসেছিল ওই নাবালিকার মৃত্যুর প্রতিবাদে থানায় ডেপুটেশন দিতে। তার পরেই ঘটে য়ায় এমন ঘটনা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নামে কমব্যাট ফোর্স। এদিনই রায়গঞ্জে এসপি অফিস ঘেরাও করেছিল বিজেপি। সেখানে অশান্তির আশঙ্কা করে মোতায়েন করা হয়েছিল প্রচুর পুলিশ।