দেবরীনা মণ্ডল সাহা :-মঙ্গলবার কোচবিহারের মাধাইখাল কালি মন্দিরে পুজো দিয়ে তাঁর জনসংযোগ যাত্রার সূচনা করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমে দিনহাটা ও তার পর সিতাইয়ের গোসানিমানিতে সভা করেছেন তিনি। এর পর তাঁর ঘোষণা মতো সাহেবগঞ্জ এবং গোঁসানিমারিতে প্রার্থী বাছাই নিয়ে গোপন ব্যালটে ভোটাভুটি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দেখা গেল, প্রথম দিনই চরম বিশৃঙ্খলা।অভিষেক সভামঞ্চ ছাড়তেই সাহেবগঞ্জ, গোঁসানিমারির সভাস্থলে গোপন ব্যালট বাক্স ঘিরে তুমুল হাতাহাতি শুরু হয়ে গেল। গোপন ব্যালট পেপার ছিনতাই হয়ে যাওয়ার অভিযোগ পর্যন্ত উঠেছে। এমনকী ব্যালট বক্স লুঠ করার চেষ্টা পর্যন্ত করা হয়েছে। এটা অন্য কোনও দল করেনি। এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা বলে অভিযোগ। গোঁসানিমারির সভার পর দেখা গেল তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে হাতাহাতি হয়ে গেল। সাহেবগঞ্জের সভার পর ভেঙে পড়ল ব্যালট বক্স। আর তাতেই প্রশ্ন উঠে গেল, কতটা গোপন রইল প্রার্থী বাছাই?অভিযোগ, সাহেবগঞ্জে ব্যালট বাক্স লুঠ করা হয়। একদল দুষ্কৃতী সভা শেষে হুড়োহুড়ি শুরু করে দেয়। ব্যালট পেপার লুঠ ছিঁড়ে দেওয়া হয়। ভেঙে ফেলা হয় ব্যালট বাক্স। ধাক্কাধাক্কিতে জখম হন কয়েকজন। একই ঘটনা ঘটে সিতাইতেও। কে বা কারা এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ঘটনার খবর পেয়ে ইতিমধ্যে রিপোর্ট তলব করেছেন খোদ অভিষেক।
জানিয়ে দিয়েছেন, এর সঙ্গে দলের কেউ জড়িত থাকলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শীতলকুচির সভা থেকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের ঘোষণা, “পঞ্চায়েতের পাহারাদারের নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। নিজে থেকে কাল ভোট করাব। সিতাইয়ের গোঁসাইবাড়ির মাঠে আবার ভোটগ্রহণ হবে।” একইসঙ্গে তাঁর হুঁশিয়ারি, “কেউ যদি মনে করে জোর করে গণ্ডগোল করব, গা জোয়ারি-দাদাগিরি করব, তা চলবে না।”এপ্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ টুইট করে জানান, প্রচুর লোক একসঙ্গে মঞ্চের উপর জড়ো হয়েছিলেন। যার জেরে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। আগামিকাল সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে একই জায়গায় ভোটগ্রহণ হবে।