প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :-যে পুলিশ তৃণমূলের কর্মসূচিতে নিরাপত্তা দিতে পারে না তারা শান্তিপূর্ণভাবে পঞ্চায়েত নির্বাচন করাবে কী ভাবে? কোচবিহারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নব জোয়ার’ যাত্রায় একের পর এক ব্যালট বাক্স ভাঙচুর ও ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনায় এই মন্তব্য করলেন বিজেপির সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।বর্তমানে তৃণমূল নেতাদের সুরক্ষা প্রদানেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে কটাক্ষ করেন তিনি।এদিন দিলীপবাবু বলেন, ‘বিজেপিকে নকল করতে গিয়ে ঝাড় খেয়েছে। তৃণমূল দলটা আর কারও নিয়ন্ত্রণে নেই। যদি দলের কর্মসূচিই শান্তিপূর্ণভাবে না হতে পারে পঞ্চায়েত নির্বাচন কী করে হবে? এই পুলিশ তৃণমূল নেতাদের, দলকে, দলের কর্মীদের সুরক্ষা দিতে পারছে না তাহলে আমরা কত ঝুঁকি নিয়ে কর্মসূচি করি। আর এই পুলিশ কী করে পঞ্চায়েত নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করবে? ধীরে ধীরে সমস্ত সভা, রাজনৈতিক কর্মসূচির নিরাপত্তার দায়িত্বও কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে দিতে হবে। নইলে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের জীবনের কোনও সুরক্ষা নেই’।মঙ্গলবার কোচবিহারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ নব জোয়ার’ যাত্রার দ্বিতীয় দিয়ে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। গোঁসানিমারি, সিতাই ও মাথাভাঙা, তিন জায়গাতেই দলের প্রার্থী নির্বাচনে চলছিল ভোটগ্রহণ।
রীতিমতো ব্যালট ছাপিয়ে ব্যালটবাক্সে চলছিল ভোটগ্রহণ। কিন্তু সেই প্রক্রিয়া কিছুক্ষণ চলার পর তিন জায়গাতেই ব্যালটবাক্স ছিনতাই করে তৃণমূল কর্মীদেরই একাংশ। তারপর তা ভাঙচুর করে ছিনিয়ে নেয় ব্যালট। সফরের প্রথম দিনেই কর্মসূচির এই পরিণতিতে যথেষ্ট বিব্রত তৃণমূল নেতৃত্ব। অভিষেক জানিয়েছেন, সিতাই ও গোঁসানিমারিতে বুধবার আবার মতামত গ্রহণ হবে।পঞ্চায়েত নির্বাচন কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে করানোর জন্য এর আগেও জোরালো দাবি জানায় রাজ্য বিজেপি। এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচির সূত্র টেনে দিলীপ বলেন, “এই পুলিশ পার্টির নেতাদেরকে সুরক্ষা দিতে পারছে না, তাহলে আমরা কত ঝুঁকি নিয়ে প্রোগ্রাম করি। আর এই পুলিশ কী করে পঞ্চায়েত নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করবে?” এমনকি, “তৃণমূল নেতাদের সুরক্ষার জন্যেও সেন্ট্রাল ফোর্সের দরকার আছে। কারণ, এই পুলিশ টাকা তুলতে তুলতে তাঁদের কোনও কর্মক্ষমতা নেই।” বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।