Breaking News

মেয়ের মৃত্যুতে সিবিআই তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে পৃথক মামলা কালিয়াগঞ্জের কিশোরীর বাবার!

প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে নাবালিকাকে গণধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে সিবিআই তদন্ত চেয়ে মামলা করলেন মেয়েটির বাবা | ওই মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা | আগামিকাল, বৃহস্পতিবার ওই মামলার শুনানি হতে পারে | এর আগে একই দাবিতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে | আগামী সোমবার সেই মামলার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে | বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে মামলা দায়ের করেন তিনি | মামলাকারী জানিয়েছেন, পুলিশি তদন্তে তাঁর আস্থা নেই। তাই সিবিআই তদন্ত দাবি করেছেন তিনি সঙ্গে দাবি করেছেন ক্ষতিপূরণ।সোমবার বিকেলে এক সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছিলেন, নাবালিকার পারলৌকিক কাজ মিটলে পরিবারের তরফে কলকাতায় এসে সিবিআই তদন্তের দাবিতে মামলা করা হবে | তারপর মঙ্গলবার আদিবাসী ও রাজবংশীদের আন্দোলনে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল কালিয়াগঞ্জ। থানায় আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। ঘরে বন্ধ করে বেধড়ক মারধর করা হয় পুলিশকর্মীদের। তার ঠিক পরদিন কলকাতা হাইকোর্টে মেয়ের মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের দাবিতে মামলা দায়ের করলেন নির্যাতিতার বাবা।

মামলাকারীর দাবি, রাজ্যের প্রশাসন ভেঙে পড়েছে। তারা পক্ষপাতদুষ্ট। এই ঘটনায় শাসকদলের নেতারা যুক্ত। তাই পুলিশি তদন্তে আস্থা নেই পরিবারের। এই ঘটনায় অবিলম্বে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিক আদালত। সিবিআই তদন্ত হলে তবেই প্রকৃত দোষীরা শাস্তি পাবে। সঙ্গে রাজ্য সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণও দাবি করেছেন নাবালিকার বাবা।গত শুক্রবার কালিয়াগঞ্জের ওই কিশোরীর মৃতদেহ একটি পুকুর পাড় থেকে উদ্ধার হয় ৷ মেয়েটি বৃহস্পতিবার থেকে নিখোঁজ ছিল ৷ পরিবারের দাবি, মেয়েটিকে গণধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে ৷ এই নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই উত্তাল গোটা এলাকা ৷ নাবালিকার দেহ উদ্ধারে গিয়ে প্রথম থেকেই বিক্ষোভের সম্মুখীন হয়েছিল পুলিশ ৷ পুলিশকে ঘিরে ইটবৃষ্টি হয় ৷ পালটা কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটাতে হয় পুলিশের ৷ তার পরও মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয় ৷ইতিমধ্যে অভিযুক্ত বাবা ও ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ| কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে ফের বিতর্ক তৈরি হয় ৷ পুলিশের দাবি, বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে ওই নাবালিকার । তাঁর শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না । তিন সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড তদন্ত করে জানায় তার শরীরে বিষাক্ত পদার্থের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে| তবে কী ধরনের বিষক্রিয়ায় মৃত্যু, তা জানতে নমুনা পাঠানো হয়েছে ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে |

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *