দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :-১২ দিন পর দিল্লি থেকে কলকাতা ফিরলেন মুকুল রায়। শনিবার দুপুরের বিমানে দমদম বিমানবন্দরে অবতরণ করে তাঁর বিমান। বিমানবন্দর থেকে বেরোতেই তাঁর সফর নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন তিনি। কোনও বিজেপি নেতা কি তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে সবার দেখা হয়েছে। কেউ আমাকে এড়িয়ে যাননি।’’
মুকুল এমন দাবি করলেও, রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, দিল্লি থেকে মুকুলকে ‘শূন্য হাতে’ই ফিরতে হয়েছে।১২ দিন পর দিল্লি থেকে ফিরলেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায় । শনিবার কলকাতায় পা রেখেই জানালেন, কারওর চাপে তিনি দিল্লি যাননি। নিজের ইচ্ছেতেই গিয়েছিলেন। প্রয়োজনে আবার যাবেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, দিল্লিতে বিজেপি নেতারা ব্যস্ত রয়েছেন। তাই দেখা হয়নি, তবে সকলের সঙ্গেই ফোনে কথা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর মন্তব্য ঘিরে জল্পনা বেড়েছে।আচমকাই মুকুল রায়ের দিল্লি সফর ঘিরে জল্পনা শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। ছেলে শুভ্রাংশু রায়ের অভিযোগ ছিল, তাঁর বাবাকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছে। যদিও সেই জল্পনা আগেই উড়িয়েছিলেন মুকুল। জানিয়েছিলেন, বিজেপির নেতাদের সঙ্গে দেখা করেবেন। কিন্তু দিল্লিতে কোনও বিজেপি নেতার সঙ্গে তাঁকে দেখা করতে দেখা যায়নি। শনিবার কলকাতায় ফিরলেন বিধায়ক। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মুকুল জানান, “কারওর চাপে আমি দিল্লি যায়নি। কেউ জোর করে আমাকে নিয়ে যায়নি। শুভ্রাংশু ভুল বলেছে।” দিল্লি পৌঁছে মুকুল রায় জানিয়েছিলেন, জে পি নাড্ডা, অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করবেন। কিন্তু কারওর সঙ্গে তাঁর দেখা হয়নি। মুকুলের কথায়, “কারওর সঙ্গে দেখা করতে যাইনি। তবে ফোনে সকলের সঙ্গে কথা হয়েছে। আবার দরকার পড়লে যাব।” যা দেখে রাজনৈতিক মহল বলছে, দিল্লি থেকে কার্যত শূন্য হাতে ফিরতে হল বাংলার ‘চাণক্য’কে। তবে এদিন কলকাতা ফিরে মুকুল আবার স্পষ্ট করে দেন, “আমি বিজেপিতেই আছি।”যদিও তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় জানিয়েছেন, “উনি বিজেপি বিধায়ক। কী করলেন তা নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা নেই।”