দেবরীনা মণ্ডল সাহা :-সারাদিন ফোনে ব্যস্ত, কথা শোনেন না স্ত্রী। তার প্রতিবাদ করায় স্বামীকে হাত পা বেঁধে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ স্ত্রী ও শ্যালকের বিরুদ্ধে। পরে আটক স্ত্রী ও শ্যালক। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ | ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুরুতর আহত সদানন্দের অভিযোগ, স্ত্রী সারাদিন ফোনে ব্যস্ত থাকেন। রবিবারও দীর্ঘক্ষণ কারও সঙ্গে কথা বলছিল সে। কাকে ফোন করছো? এই প্রশ্ন করায় তাঁর হাত – পা বেঁধে ফেলেন স্ত্রী অষ্টমী ও শ্যলক। তার পর বেধড়ক মারধর করে রাতে গ্রামের মাঠে ফেলে রেখে আসে তাঁরা। স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে যুবককে উদ্ধার করে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ৭ বছর আগে গোলাবাড়ি ২ নম্বর পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা সদানন্দর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল গোপালপুর পঞ্চায়েতের গলাডহরা গ্রাম পঞ্চায়েতের মানিক নস্কর পাড়ার অষ্টমীর। দম্পতির ৩ বছরের শিশুকন্যা রয়েছে।
পরে শ্বশুরবাড়ির কাছে বসবাস করতে শুরু করেন সদানন্দ। দম্পতির মধ্যে দীর্ঘদিন বিবাদ চলছিল। সদানন্দের অভিযোগ, স্ত্রী সারাদিন ফোনে ব্যস্ত থাকে। গতকালও অনেকক্ষণ ফোনে কথা বলছিল। কার সঙ্গে কথা বলছে জানতে চাইলে আমাকে মারধর করে।ওদিকে বধূর দাবি, স্বামী পেশায় রাজমিস্ত্রি। কিন্তু ঠিক মতো কাজে যান না। উলটে তাঁর ওপর অত্যাচার করে। সদানন্দের অভিযোগের ভিত্তিতে স্ত্রী ও শ্যালককে আটক করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ।