প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- ডিএ’র দাবিতে ‘স্পর্শ কাতর’ এলাকায় মিছিলের আবেদন করেছিল আন্দোলনকারীরা | কিন্তু পুলিস তাতে অনুমতি দেয়নি | তিনটে বিকল্প রুট মিছিলের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হলেও মানতে নারাজ আন্দোলনকারীরা | আদালতের দ্বারস্থ হয় মঞ্চ | অবশেষে স্পর্শ কাতর’ এলাকা হরিশ মুখার্জি রোডে মিছিল করার অনুমতি দিল আদালত | এই মিছিলে শান্তি বজায় রাখার পাশাপাশি সেখান থেকে কোনওরকম কুমন্তব্য করা চলবে না, বৃহস্পতিবার এমনই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা | বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী ৬ মে হাজরা- দমকল কেন্দ্র থেকে হরিশ মুখার্জি রোড ধরে ডি এন রোড ধরে ডান দিক দিয়ে আশুতোষ মুখার্জি দিয়ে এসপি মুখার্জি ধরে হাজরা মোড় পর্যন্ত যাবে মিছিল |ডিএ সহ একাধিক দাবিতে মহামিছিলের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকারি কর্মীদের যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ |
আদালত এদিন জানান, একটি নির্দিষ্ট রুটেই এই মহামিছিল করতে হবে| হাজরা মোড় থেকে হাজরা রোড হয়ে কালীঘাট দমকল স্টেশন পর্যন্ত যাবে এই মিছিল। সেখান থেকে এগোবে ডানদিকে হরিশ মুখার্জি রোড ক্রশিং-এর দিকে এগোবে। সেই পথেই মিছিল যাবে সাবার্বান স্কুল রোড। এরপর ডানদিকে ডিএন রোড হয়ে হাজরা মোড়ে ফিরবে মিছিল। প্রসঙ্গত, এই রুটেই সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবন।এদিন আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আদালতের শর্ত, শান্তিপূর্ণ ভাবেই মিছিল করতে হবে। কোনও উস্কানিমূলক মন্তব্য বা বক্তব্য রাখা যাবে না৷ দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৪ টে পর্যন্ত হবে এই মহামিছিল। মিছিলের জন্য দায়বদ্ধ থাকবে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের এমন ১২ জনের নাম আগেই জানাতে হবে পুলিশকে। ৩৫০০ কাছাকাছি মিছিলে জমায়েত হওয়ার কথা।এদিন শুনানিতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা মন্তব্য করেন, ‘‘কলকাতার সব থেকে শান্তিপূর্ণ রাস্তা হচ্ছে হরিশ মুখার্জি স্ট্রিট। কেন পুলিশ মিছিলের অনুমতি দিচ্ছে না।’’রাজ্যের তরফে জানানো হয়, ‘‘ওটা খুব স্পর্শকাতর এলাকা। ওই এলাকায় মিছিল করতে গিয়ে যদি ভিড় ছড়িয়ে যায় তার দায়িত্ব কে নেবে? বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, ‘‘আমরা আবেদন করার পরে কিছু এলাকায় ৩ মে ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে।’’ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা জানান, ‘‘সবাই যে আশঙ্কা করছে, সেটা কোর্টও অনুভব করছে। কোনও রকম অশান্তি এড়িয়ে মিছিল করতে হবে।’’ডিএ র দাবিতে এবার রাজ্য সরকারি কর্মীদের মিছিল হবে এবার শহরের অন্যতম ব্যস্ততম এলাকা হরিশ মুখার্জি রোডে |বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানি ছিল। সওয়াল -জবাব চলাকালীন বিচারপতি মান্থার প্রশ্ন করেন, “শহরের বিভিন্ন প্রান্তে প্রায়শই মিছিল হয়। হরিশ মুখার্জি রোড নিয়ে এত আপত্তি কেন?” জবাবে সরকারি কৌঁসুলি জানান, “ওই রাস্তা স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত। রাস্তার বেশ কিছু এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। সেখানকার মিছিলে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হলে, দায় কে নেবে?” পালটা আন্দোলনকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের দাবি, মিছিলের আবেদন করার পর ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এরপরই শর্তসাপেক্ষে হরিশ মুখার্জি রোডের মিছিলের অনুমতি দেন বিচারপতি মান্থা |