প্রসেনজিৎ ধর :- চার দিন ধরে নিখোঁজ। অবশেষে নিজের বাড়িতেই ঘরের মেঝের মাটি খুঁড়ে উদ্ধার হল এক ব্যক্তির দেহ। মুর্শিদাবাদের সুতির ওই ঘটনায় প্রবল চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। আশ্চর্যজনক ঘটনা হল ওই ঘটনায় গ্রেফাতার করা হয়েছে ওই ব্যক্তির স্ত্রীকেই। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম দশরথ দাস (৪৭)। শনিবার দুপুরে পুলিশ রঘুনাথগঞ্জ থানার পঞ্চবাটি গ্রামে বাড়িতে মাটি খুঁড়ে দশরথের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় মৃতের স্ত্রী সুভদ্রা ও ছোট মেয়ে সুদীপাকে গ্রেপ্তার করেছে। দেহ উদ্ধার করে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুতি থানার সুজনিপাড়ার বাসিন্দা দশরথ দাস। স্ত্রী সুভদ্রা দাস। দাস দম্পতির এক ছেলে ও দুই মেয়ে। দাম্পত্য অশান্তির জেরে স্বামী-স্ত্রী আলাদা থাকতেন। দশরথ থাকতেন সুজনিপাড়ায়। স্ত্রী সুভদ্রা ছেলে ও মেয়েদের নিয়ে রঘুনাথগঞ্জের পঞ্চবাটি গ্রামে থাকতেন। অভিযোগ, ৯ মে দশরথ দাসকে তাঁর একমাত্র ছেলে মধুসূদনের চিকিৎসার নাম করে জঙ্গিপুর নিয়ে যান সুভদ্রা। তারপর থেকে প্রৌঢ়ের আর কোনও খোঁজ মিলছিল না। এরপরই দাদার খোঁজে সুতি থানায় লিখিত অভিযোগ করেন তাঁর ভাইরা।শুক্রবার দুপুরে সুতি ও রঘুনাথগঞ্জের পুলিশ যে পঞ্চবাটি গ্রামে দশরথের স্ত্রী সুভদ্রা তাঁর ছেলে-মেয়েদেরকে নিয়ে থাকতেন সেই বাড়িতে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মাটি খুঁড়ে তল্লাশি চালানো হয়। তারপরেও দশরথের দেহ পুলিশ উদ্ধার করতে পারেনি। রাতে সুভদ্রা ও সুদীপাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই আসল তথ্য বেরিয়ে আসে। শনিবার দুপুরে পুলিশ ধৃত সুভদ্রা ও সুদীপাকে সঙ্গে নিয়ে ফের ওই ঘরের মেঝে খুঁড়ে মুখে কাপড় বাঁধা অবস্থায় দশরথের দেহ উদ্ধার করে।মৃতের ভাই উদয় কুমার দাস জানান,”দাদার বেশ কিছু জমি আছে। আমাদের সন্দেহ আমার বউদি ও তাঁর ছেলেমেয়েরা সেই সম্পত্তি নিজেদের নামে লিখিয়ে নেওয়ার জন্য চেষ্টা করেছিল। দাদা রাজি না হওয়ায় তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করার পর মৃতদেহ ঘরের ভিতর মাটি খুঁড়ে পুঁতে দিয়েছিল।” এই ঘটনার পর দশরথের একমাএ ছেলে মধুসূদন দাস, বড় মেয়ে পুজা দাস ও জামাই অমিত রায় পলাতক। সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ না কি এই খুনের পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।