Breaking News

‘প্রধানমন্ত্রীর থেকেও বেশি সুরক্ষা বলয় অভিষেকের’, ভাইপোর নিরাপত্তায় ২২৪৫ পুলিশ নিয়ে প্রশ্ন শুভেন্দুর!

প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তায় কেন ২২৪৫ জন পুলিশকে মোতায়েন করার প্রয়োজন পড়ল? তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বর্তমানে তৃণমূলের ‘নবজোয়ার’ কর্মসূচি নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরে রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই এই নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি শুভেন্দুর।যা রাজ্য রাজনীতিতে ফের শোরগোল ফেলে দিয়েছে। তবে তিনি এই টুইটে সরসরি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম উল্লেখ করেননি।শুভেন্দু লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রীকে সুরক্ষা দেয় স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ(এসপিজি)। দেশের সর্বোচ্চ সুরক্ষা বলয় সেটাই হওয়া উচিত। এটা কি ঠিক? না ভুল।এবার দেখে নিন ভাইপো প্রোটেকশন গ্রুপের বহর। একদিনে(আজ) ২২৪৫ জন পুলিশ পার্সোনেলকে মোতায়েন করা হয়েছে। শুধু মাত্র ১ জনের সুরক্ষার জন্য। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো হিসাবে।গোটা পৃথিবীতে রাষ্ট্রপ্রধানদের সুরক্ষা বিবর্ণ লাগবে এই সুরক্ষা বলয় দেখলে। পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি একেবারে ভেঙে পড়েছে। গত মাসের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাব শুধু বিস্ফোরণেই প্রচুর মানুষ মারা গিয়েছেন। অগণিত খুন( রাজনৈতিক খুন সহ), নারীদের বিরুদ্ধে একের পর এক নির্যাতন।তিনি লিখেছেন, দক্ষিণবঙ্গের থানা প্রায় খালি হয়ে গিয়েছে। শুধু একজনের সুরক্ষার জন্য় চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

কারণ তিনি রাজনৈতিক সফরে বেরিয়েছেন। রাজ্যের হোম ডিপার্টমেন্ট সাধারণ মানুষের কথা ভাবছেই না। তাদের অগ্রাধিকার শুধু একজন মানুষের জন্য। আর বাংলার সাধারণ মানুষের জন্য কোনও সুরক্ষার বালাই নেই। শুধু বড় কোনও বিপদের আশঙ্কায় দিন গুনছেন তারা।তিনি একেবারে সরকারি নথি উল্লেখ করে লিখেছেন, পুলিশকে ১৪ পাতা দীর্ঘ নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেখানে কয়েকটা একেবারে চমকে দেওয়ার মতো। ৩০মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটকে সকাল থেকে মিটিংয়ের কাছে থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক। শুভেন্দুর দাবি, রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাওয়া সত্ত্বেও থানা ফাঁকা করে পুলিশ যাচ্ছে অভিষেককে নিরাপত্তা দিতে। সাধারণ মানুষের প্রতি প্রশাসনের কোনও গুরুত্ব নেই বলেও মন্তব্য করেছেন শুভেন্দু।
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *