প্রসেনজিৎ ধর :- অবশেষে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার বিকেল পৌনে ৪টে নাগাদ ওড়িশার বালেশ্বর পৌঁছন তিনি। ঘুরে দেখেন দুর্ঘটনাস্থল। পরে হাসপাতালে আহতদের সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। শুক্রবার সন্ধেবেলা দুর্ঘটনার পর পরই ট্যুইট করে শোকপ্রকাশ করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। বালেশ্বরে গিয়ে দুর্ঘটনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। কথা বলেন রেলের পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গেও। শনিবার বালেশ্বর যাওয়ার আগে নয়াদিল্লিতে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে পর্যালোচনা করেন বৈঠকে। কিন্তু ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা ঠিক কত? তা নিয়ে বিভিন্ন সূত্র থেকে মিলছে বিভিন্ন তথ্য। সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৬০। আহতের সংখ্যা নিয়েও রয়েছে দ্বিমত। কারও মতে আহত প্রায় ৯০০ জন। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, আহত ৬৫০ জনেরও বেশি।ইতিমধ্যেই রেলের তরফ থেকে ক্ষতিপূরণও ঘোষণা করা হয়েছে। দুর্ঘটনায় মৃতের পরিবারকে এককালীন ১০ লক্ষ টাকা, গুরুতর আহতদের ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। অল্প আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করেছেন। রেল দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। গুরুতর আহতদের ১ লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘বাংলার মানুষ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। রাজ্যের যাঁরা আহত হয়েছেন, প্রয়োজনে কলকাতায় নিয়ে গিয়ে তাঁদের চিকিৎসা করাব।’’ এবার ঘটনাস্থলে পৌঁছলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী|এদিকে দুর্ঘটনার পরই একাধিক হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। হাওড়ার হেল্পলাইন নম্বর – ০৩৩ ২৬৩৮২২১৭, খড়গপুরের হেল্পলাইন নম্বর – ৮৯৭২০৭৩৯২৫, ৯৩৩২৩৯২৩৩৯, বালেশ্বরের হেল্পলাইন নম্বর – ৮২৪৯৫৯১৫৫৯, ৭৯৭৮৪১৮৩২২, শালিমারের হেল্পলাইন নম্বর – ৯৯০৩৩৭০৭৪৬, চেন্নাইয়ের হেল্পলাইন নম্বর – ০৪৪ ২৫৩৩০৯৫২/০৪৪-২৫৩৩০৯৫৩/০৪৪-২৫৩৫৪৭৭১, ভদ্রক- ৮৪৫৫৮৮৯৯০০, কেওনঝড় রোড- ৮৪৫৫৮৮৯৯০৬, কটক- ৮৪৫৫৮৮৯৯১৭, ভুবনেশ্বর- ৮৪৫৫৮৮৯৯২২, খুরদা রোড- ৬৩৭০১০৮০৪৬।