Breaking News

‘এবার কি ইডি-সিবিআই বাথরুমেও ঢুকবে?’,পুরনিয়োগ মামলায় কেন্দ্রীয় এজেন্সির তল্লাশি নিয়ে প্রশ্ন মমতার!

প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- এবার কি ইডি- সিবিআই বাথরুমেও ঢুকবে? বিস্ফোরক হয়ে এমনই প্রশ্ন করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সকাল থেকে কলকাতা সহ রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন পুরসভা সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। সেই প্রসঙ্গেই বিস্ফোরক হন মুখ্যমন্ত্রী। সিবিআইকে কাজে লাগিয়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার প্রকৃত তদন্ত ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে কেন্দ্র। বুধবার ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত এবং আহতদের পরিবারের হাতে চেক বিলির পর বিস্ফোরক দাবি করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের বহু পুরসভায় সিবিআই হানা নিয়েও ক্ষোভপ্রকাশ করেন। “এবার কি সিবিআই বাথরুমে ঢুকবে?”, খোঁচা রাজ্যের মু্খ্যমন্ত্রীর। সিবিআই তদন্তের নামে ট্রেন দুর্ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করে মমতা বলেন, “ট্রেন দুর্ঘটনার সত্য ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। যাঁরা পরিবারের সদস্যদের হারিয়েছেন তাঁরা এঁদের কাছে কৈফিয়ত চান। সত্য সামনে আসুক। কেন দুর্ঘটনা হল? কেন এতজন মারা গেলেন?” বুধবার সকাল থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের বহু পুরসভায় হানা দিয়েছে সিবিআই। সে প্রসঙ্গেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে তোপ দাগেন মমতা। তিনি বলেন, “দুর্ঘটনার তদন্ত হল না। সকাল থেকে সিবিআইকে পাঠিয়ে দিয়েছে দিল্লি। রাজ্যের ১৪-১৬টি পুরসভায় ঢুকিয়ে দিয়েছে।

নগরোয়ন্নেও ঢুকিয়ে দিয়েছে। এবার কি বাথরুমেও ঢুকবে সিবিআই। ওয়াশরুমে ঢুকবে? ওইটুকুই বাকি আছে। এসব করে সত্য ধামাচাপা দেওয়া যায় না। প্রত্যেকটা আত্মার আত্মীয় কাঁদছে। আপনজন কোনওদিনও ফিরে আসবেন না। কিন্তু সঠিক ব্যবস্থা হোক। তদন্ত হোক। মিথ্যে বলে আগুনকে চাপা দেওয়া যায় না।” উল্লেখ্য,এদিন সকাল থেকে প্রায় ১৪টি পুরসভায় ম্যারাথন তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। তল্লাশি চলেছে সল্টলেকে অবস্থিত রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর- ‘নগরায়ন’-এবং ভ্যালুয়েশন বোর্ডেও। উত্তর দমদম, দক্ষিণ দমদম, নিউ ব্যারাকপুর, কাঁচরাপাড়া, হালিশহর, পানিহাটি, টিটাগড়, কৃষ্ণনগর, শান্তিপুর সহ প্রায় ১৪টি পুরসভা সহ ২০ টিরও বেশি জায়গায় তল্লাশি চলছে। তা নিয়ে কলকাতা পুরনিগমের মেয়র তথা পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের কটাক্ষ ছিল, ‘দেশ চালাচ্ছে গব্বর সিং’। বলেছিলেন, সবকিছুর জবাব দেবে মানুষ।
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *