প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :-কয়লা কাণ্ডে প্রায় ৪ ঘন্টার জিজ্ঞাসাবাদ। চারটে বেজে ২০ মিনিট নাগাদ হাসিমুখে ইডি দপ্তর থেকে বেরলেন রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও বেরিয়ে মুখ খোলেননি তিনি। গাড়িতে হাত জোড় করে বসেই বেরিয়ে যান। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তলবের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সলটলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিয়েছিলেন রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে পৌঁছেছিলেন রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক পত্নীকে তলব করা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে কিছু বলব না। ও প্রাপ্তবয়স্ক। এ প্রসঙ্গে যা বলার ও নিজেই বলবে।’সিজিও কমপ্লেক্সে ঢোকার সময় যেমন কোনও কথা বলেননি, তেমন বেরোনোর সময়ও রুজিরা মুখ খোলেননি। শুধু অভিবাদন জানানোর ভঙ্গিমায় কালোগাড়ির কাঁচ নামিয়ে হাতজোড় করেন। যে গাড়ির কাঁচ আসার সময় পুরোপুরি বন্ধ ছিল। একইভাবে বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কোনও মন্তব্য করতে চাননি। রুজিরার জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টিকে ‘ব্যক্তিগত ব্যাপার’ বলেন। সেইসঙ্গে শুধু নিজের ভাইপোর স্ত্রী’কে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়ে মমতা বলেন, ‘ও খুব ভালো মেয়ে, শান্ত মেয়ে।’কোটি-কোটি টাকার কয়লা মামলায় এই প্রথম ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়লেন না রুজিরা। গত বছর জুনে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদেরও মুখে পড়েছিলেন রুজিরা (২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে)। সূত্রের খবর, সেইসময় থাইল্যান্ড এবং লন্ডনের দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নিয়ে রুজিরাকে প্রশ্ন করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি। যে দুটি অ্যাকাউন্ট কোনও এক ‘রুজিরা নারুলা’-র নামে আছে। এদিন বিকেল ৪ টে বেজে ২০ মিনিট নাগাদ ইডি দপ্তর থেকে বের হন অভিষেকপত্নী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন কালো গাড়িতে বের হন তিনি। নামানো ছিল গাড়ির কাচ। তবে সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি রুজিরা। হাত জোড় করে বেরিয়ে যান ইডি দপ্তর থেকে। প্রসঙ্গত, গত সোমবার দুবাই যাওয়ার পথে কলকাতা বিমানবন্দরে তাঁকে আটকায় অভিবাসন দপ্তর। দপ্তরের আধিকারিকরা তাঁকে আটকায় বলে অভিযোগ। বিদেশ যাওয়া যাবে না বলে জানানো হয় রুজিরাকে। যদিও এর আগে সুপ্রিম কোর্ট তাঁর বিদেশযাত্রায় কোনও বাধা নেই বলে জানিয়েছিল। এরপর ওইদিনই তাঁকে সমন পাঠায় ইডি।