প্রসেনজিৎ ধর,কলকাতা :- কংগ্রেসের হাত ছেড়ে তৃণমূলের হাত ধরার পর সাগরদিঘির বিধায়ক বাইরন বিশ্বাসের সাফ দাবি ছিল, তিনি কংগ্রেসের ভোটে জেতেননি। জিতেছিলেন নিজের নাম এবং ভাবমূর্তিতে। এবার যেন এই বাইরনকেই আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে রোল মডেল করতে চাইছে তৃণমূল। সেই সুরই কুণালের গলায়। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বললেন, “তৃণমূল সব জায়গাতেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে। ফলে দু-চারজন অন্য প্রতীকে জেতেন তাঁরা তো এটা অনুভব করবেন। বাইরনের অনুভূতি তো সংক্রমিত হবে। আর মানুষই কেন অন্য চিহ্নে ভোট দেবে? তৃণমূলে দিলে সরাসরি তৃণমূল জিতবে। অন্য চিহ্নে দিলে ভোটের পরে জয়ীরা তৃণমূলে আসবে। ফলে অন্য চিহ্নে দিয়ে কী লাভ?” প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা ভোটে জোট বেঁধে লড়েও বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি বাম-কংগ্রেস। একটি আসনেও জেতেনি দুই দল। পাশাপাশি ভাঙড় জিতে সংযুক্ত মোর্চার মুখ রক্ষা করে আইএসএফ।
এদিকে সাগরদিঘি উপনির্বাচনের পর নতুন করে অক্সিজেন পায় বাম-কংগ্রেস। তৃণমূলকে হারিয়ে ভোটে জেতেন বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস। পঞ্চায়েত ভোটেও বাম-কংগ্রেস জোট নিয়ে শুরু হয়ে যায় জোর চর্চা। কিন্তু, তার মাত্র ৩ মাসের মধ্যেই ঘুরে যায় খেলা। যে তৃণমূলকে হারিয়ে সাগরদিঘি নিজের দখলে রেখেছিলেন সেই তৃণমূলেই চলে যান বাইরন বিশ্বাসকে। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য,”ওরা যে এত লাফালাফি করছে, সব আসনে প্রার্থীও জোগাড় করতে পারবে না। আর যদি লম্ফঝম্ফের পর কোথাও দু’চার জন প্রার্থী জেতেও, ভোটের পর তাঁরা যখন দেখবেন, কেন্দ্র সরকার কীভাবে রাজ্যের টাকা আটকে রাখছে, আর রাজ্য সরকার কীভাবে নিজেদের প্রকল্পগুলি চালিয়ে যাচ্ছে, তখন আরও ভালভাবে কাজ করার জন্য তৃণমূলেই যোগ দেবেন।”
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal