দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :-পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্ব শুরু হতেই তুমুল অশান্তি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে ‘খুন’ হয়েছেন কংগ্রেস কর্মী। এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় হামলা চলছে নানা রাজনৈতিক দলের কর্মী, প্রার্থীদের উপর। এসব নিয়ে নালিশ জানাতে শনিবার দুপুর নাগাদ রাজভবনে গিয়েছিল বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল। তাঁদের সঙ্গে কথা বলার পরই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে রাজভবনে তলব করা হয়েছে। তলব পেয়ে তিনি সঙ্গে সঙ্গে রাজভবনে পৌঁছে যান বলে খবর।মনোনয়ন ঘিরে দিকে দিকে অশান্তির অভিযোগ উঠতেই নড়েচড়ে বসেছে নির্বাচন কমিশনও। ডোমজুড়, খড়গ্রাম-সহ একাধিক জায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির ছবি উঠে এসেছে। কেন এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে জেলাশাসকদের থেকে রিপোর্ট চেয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কেন প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে পারছে না বলে অভিযোগ করছে, তা জানতে চেয়েছে কমিশন। আর এসবের মধ্যেই এবার রাজ্যপাল স্বয়ং বিশদে জানতে ডেকে পাঠালেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে। জানা যাচ্ছে, যে অভিযোগগুলি উঠে আসছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে, সেই বিষয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন কী পদক্ষেপ করছে, সেই বিষয়ে রাজীব সিনহার থেকে খোঁজখবর নিতে পারেন রাজ্যপাল।
এদিকে গতকালই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী রাজ্যপালকে চিঠি লিখেছেন খড়গ্রামে কংগ্রেস কর্মীকে খুনের অভিযোগের বিষয়ে। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে, পঞ্চায়েত ভোটে যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করা হয়, সেই নিয়েও রাজ্যপালকে আর্জি জানিয়েছেন অধীর। আজ রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে রাজ্যপালের আলোচনায় অধীর চৌধুরীর সেই চিঠির প্রসঙ্গও উঠে আসতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। প্রায় ৪৫ মিনিট রাজভবনে ছিলেন রাজীব সিনহা। আড়াইটে নাগাদ গাড়িতে চেপে রাজভবন থেকে বেরিয়ে যান তিনি।তবে কমিশন সূত্রে খবর, ধারাবাহিক অশান্তির খবর পেয়ে তিনি প্রত্যেক জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের কড়া নির্দেশ দিয়েছেন, নিজ নিজ এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। পাশাপাশি, যেসব এলাকায় অশান্তি বেশি হচ্ছে, সেখানকার জেলাশাসকদের থেকে রিপোর্টও তলব করেছেন।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal