প্রসেনজিৎ ধর :- সবে মাত্র প্রকাশিত হয়েছে পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট। আর তার মধ্যেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বড় ধাক্কা খেল রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি | পঞ্চায়েত ভোটের আগে নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গড়ে ভাঙন ধরল। তিনবারের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী তথা বিজেপি-র পর্যবেক্ষক বিজন দাস তৃণমূলে যোগদান করলেন। মনোনয়ন জমার প্রথম দিন নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর গড়ে বিজেপিতে ভাঙন দেখা দিল।বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী অনুগামীদের দৌরাত্ম্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন। নন্দীগ্রাম ব্লক তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁকে বরণ করে নেন তৃণমূলের তমলুক সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান পীযূষকান্তি ভূঁইয়া, যুব তৃণমূল সভাপতি আসগর আলি, নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লক সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ-সহ অনেকে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে নন্দীগ্রামে বিজেপির প্রথম সারির নেতাকে দলে পেয়ে উচ্ছ্বসিত তৃণমূল শিবিরে।বিজন বলেন,”আত্মমর্যাদা নিয়ে আর বিজেপি করা যাচ্ছে না। শুভেন্দু অনুগামীদের দৌরাত্ম্য দলের শেষ করছে।
একদিন যাঁরা নন্দীগ্রামের মাটিতে বিজেপিকে হাতে গড়েছিলেন, আজ তাঁরা ব্রাত্য। তাঁদের এড়িয়ে দলের আলোচনা-সহ অন্যান্য কাজ হয়। সোজা কথায়, আমরা যারা আদি বিজেপি,আমাদেরকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। দাপট দেখাচ্ছে শুভেন্দু এবং তাঁর লোকজন। আর এভাবেই ধর্মের সুড়সুড়ি দিয়ে বাংলায় লুঠতরাজ কায়েম করতে মরিয়া বিজেপি। এভাবে কোনও দল চলতে পারে না। সব কিছু ভেবে বাংলায় মা-মাটি-মানুষের সরকারের প্রতি আস্থা রাখলাম। এবার মানুষের সঙ্গে থেকে কাজ করতে চাই।” এ বিষয়ে বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। সেই সঙ্গে তৃণমূল দলের বিরুদ্ধে প্রলোভন দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন,”ভুল কথা বলছেন বিজনবাবু। ওঁকে যথেষ্ট সম্মান দিয়ে দলের পদে বসানো হয়েছিল। কিন্তু উনি আমাদের কাউকে না জানিয়ে দল ছাড়লেন। কিছু প্রলোভন পেয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তবে আমাদের ক্ষতি হবে না।”
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal