Breaking News

ঠাকুরনগরের ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চাইলেন শান্তনু,মমতাবালার কটাক্ষ,‘নিয়মিত গাঁজার আড্ডা বসে ঠাকুরবাড়ি চত্বরে’!

প্রসেনজিৎ ধর :-ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়িতে গেলেও মূল মন্দিরে ঢুকতে পারেননি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় | রবিবারের এই ঘটনাকে সামনে রেখে এই মুহূর্তে তপ্ত রাজ্য রাজনীতির পারদ। অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি মমতাবালা ঠাকুরের অভিযোগ, বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের অঙ্গুলিহেলনেই এই ঘটনা ঘটেছে। পাল্টা শান্তনু ঠাকুরের দাবি, অভিষেক ৫-১০ হাজার পুলিশ নিয়ে মন্দিরে ঢুকতে চেয়েছিলেন। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য, মন্দিরের পূজারিকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বার করে দিয়ে মন্দিরের দখল নিতে চাওয়া হয় রবিবার।

যা অপ্রত্যাশিত, অন্যায়। তিনি চান, রবিবারের ঘটনার সিবিআই তদন্ত হোক। তাহলেই মূল ঘটনা সামনে আসবে। পাল্টা শান্তনুকে নিশানা করে মমতাবালা বিস্ফোরক মন্তব্য করে বলেন, “গাঁজা খাওয়া হয়েছে ঠাকুরবাড়ি চত্বরে।”কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের অভিযোগ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়,জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক,ব্রাত্য বসু সুজিত বসুদের মদতে পুলিশ অনৈতিকভাবে মারধর করেছে এবং গ্রেপ্তার করেছে। পুরো বিষয়টি নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে তিনি। এদিকে সোমবার দুপুরে তৃণমূলের কার্যালয় থেকে সাংবাদিক বৈঠক করেন মমতাবালা ঠাকুর। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। এতবছরের ইতিহাসে এমন দৃশ্য দেখেননি তিনি। তাঁর অভিযোগ, তিনি দুই সন্তানকে নিয়ে থাকেন, শান্তনু ঠাকুররা দিলেন পর দিন তাঁদের নানাভাবে ভয় দেখান। যার ফলে আতঙ্কে কাটছে দিন |রবিবারের ঘটনা প্রসঙ্গে মমতাবালা ঠাকুর জানান, নবজোয়ার কর্মসূচিতে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন মন্দিরেই গিয়েছেন। ঠাকুরবাড়িও তার অন্যথা ছিল না। কিন্তু শান্তনু ঠাকুর এই ঘটনাকে রাজনীতির রং দিয়ে এমন নজিরবিহীন কাণ্ড ঘটিয়েছেন। মমতাবালার কথায়, “উনি ঠাকুরবাড়িতে এসে পুজো করে বেরিয়ে যাবেন সেটাই কথা ছিল। রাজনীতির কিছুই ছিল না। অথচ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর যে আচরণ করলেন, এতটা নোংরামি আমরা ভাবতেই পারি না।এ প্রসঙ্গে সোমবার তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “অভিষেক ঠাকুরবাড়িতে পুজো দিতে যাচ্ছিলেন। রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না। মমতার সঙ্গে ঠাকুরবাড়ির নাড়ির যোগ। কিন্তু গতকাল মন্দির বন্ধ রেখে জুতো পরা বাহিনী নিয়ে মন্দির অপবিত্র করেছে। বিজেপির নেতারা যখন পুজো দেন, কেউ কোথাও বাধা দেয় না। অভিষেকের পুজো দেওয়ার অধিকার কেড়েছেন শান্তনু। নবজোয়ারকে ভয় পেয়েছেন।”
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *