Breaking News

মনোনয়নে বাধার অভিযোগ! বাসভর্তি প্রার্থী নিয়ে এসে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে বিক্ষোভ শুভেন্দু অধিকারী এবং সুকান্ত মজুমদারের

প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে বিজেপি প্রার্থীদের সঙ্গে নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে গেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট থেকে বাসে করে আনা ওই বিজেপি মনোনীত প্রার্থীদের শাসকদল মনোনয়ন জমা দিতে দিচ্ছে না বলে বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ।বুধবার সকাল থেকে বসিরহাটের ন্যাজাট এলাকায় বিডিও অফিসের সামনে টানা অবস্থানে বসেছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি সেখান থেকে হুঁশিয়ারিও দেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে শান্তিপূর্ণভাবে বিজেপির মনোনয়ন না দিতে পারলে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সামনের থেকে উঠবেন না। বসিরহাট থেকে দলীয় প্রার্থীদের নিয়ে বাসে করে সুকান্ত মজুমদার আসেন কলকাতায়। সেখানে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়া এবং বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়ও ছিলেন সেই দলে।

কমিশনে তাঁরা অভিযোগ জানান, শাসকদল বিডিও অফিস ঘিরে মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দিচ্ছে। শুভেন্দুরা বেরিয়ে আসার পরেই সুকান্ত বসিরহাট থেকে আসেন। সঙ্গে বাসবোঝাই ওই এলাকার প্রার্থীরা|এরপর শুভেন্দু এবং সুকান্ত জানান, হাই কোর্ট বলেছে মনোনয়ন জমা দিতে না পারলে আপনাদের অভিযোগ জমা দিতে। প্রার্থীদের নিয়ে কমিশনের দফতরে ঢুকতে গিয়ে প্রথমে বাধার মুখে পড়েন বিজেপি নেতারা। এ সময় উত্তেজনা তৈরি হয়। দড়ি খুলে পুলিশের ব্যারিকেড সরিয়ে দেন শুভেন্দু। এর পর কমিশন ৫ জন প্রার্থীকে ভিতরে ঢোকার অনুমতি দেয়।রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সামনে থেকেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সরকার ও কমিশনের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় তোপ দেগেছেন।
অভিযোগ করেন, ”ভয়মুক্ত পরিবেশে সুষ্ঠু ভাবে মনোনয়ন দাখিল করতে পারছেন না বিরোধী প্রার্থীরা। বিশেষ করে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভাঙড় – ১ এবং ২ নম্বর ব্লক ও ক্যানিং – ১ এবং ২ নম্বর ব্লক; বাঁকুড়া জেলার কোতুলপুর, পাত্রসায়র, ইন্দাস; বীরভূম জেলার লাভপুর ও নানুর; উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সন্দেশখালি – ১ এবং ২ নম্বর ব্লক ও মিনাখাঁ; হাওড়া জেলার উদয়নারায়ণপুর ও বাগনান – ২ নম্বর ব্লক সহ রাজ্যের অন্যান্য ব্লকে বেশি অশান্তি করছে পুলিশ। বিডিও অফিস তথা মনোনয়ন কেন্দ্রগুলি সন্ত্রাসের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। তবে এবার আর ভোট লুটতে দেব না |’
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *