প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীতে আপত্তি জানিয়ে করা পুনর্বিবেচনার আর্জি প্রত্যাহার করে নিল রাজ্য সরকার। গত ১৩ জুন প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, রাজ্যের স্পর্শকাতর একাধিক জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে পঞ্চায়েত ভোট করাতে হবে। সেই রায়ের পালটা একটি ‘রিভিশন অ্যাপ্লিকেশন’ দাখিল করে রাজ্য সরকার। শুক্রবার সেই পুনর্বিবেচনার আর্জি প্রত্যাহার করে নিলেন রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে আবেদন প্রত্যাহারের অনুমতিও দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, রাজ্য নির্বাচন কমিশন যে এলাকাগুলিকে স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করেছিল, সেখানে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে।
পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে বিরোধীদের জনস্বার্থ মামলায় হাই কোর্টের এই রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে বৃহস্পতিবার আদালতে গিয়েছিলেন রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ। তবে রাজ্য ছাড়াও কমিশন এবং বিরোধী দল বিজেপি এ নিয়ে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির দ্বারস্থ হয়। প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে কল্যাণ বলেন, ‘‘সাতটি স্পর্শকাতর জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। কিন্তু স্পর্শকাতর এলাকাই এখনও চিহ্নিত হয়নি। তাই এই রায় পুনর্বিবেচনা করা হোক।’’ কমিশনও জানিয়ে দেয়, তারা এখনও স্পর্শকাতর বুথ চিহ্নিত করেনি। যা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন প্রধান বিচারপতি।স্পষ্ট ভাষায় প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, রাজ্যের সব এলাকাতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করতে হবে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নির্দেশ কার্যকরেরও নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিংহ জানান, বিরোধিতা নয়, কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ মেনেই চলবেন তিনি। রাজীব বলেন, ‘‘হাই কোর্ট যা নির্দেশ দিয়েছে তা কার্যকর করব।’’ যদিও বিরোধী নেতৃত্বের একাংশের আশঙ্কা, হাইকোর্টের রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে রাজ্য সরকার।