দেবরীনা মণ্ডল সাহা :- ক্ষতবিক্ষত ভাঙড়। এখনও ছড়িয়ে রাশি রাশি বোমা। সেই ভাঙড়েই গিয়ে শুক্রবার পৌঁছলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেখানে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বললেন রাজ্যপাল। সাধারণ মানুষের কাছ থেকে হিংসার বিবরণ শোনেন তিনি। অশান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন।ভাঙড় কলেজে আইএসএফ কর্মীদের সঙ্গে কথা রাজ্যপালের। মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আইএসএফ কর্মীরা। রাজ্যপালকে অভিযোগ জানাতে কলেজের বাইরে জমায়েত করেছিলেন তাঁরা। খবর পাওয়ার পরই আইএসএফের দুই কর্মীকে বৈঠকে ডাকেন রাজ্যপাল। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল। ওই কর্মীরা বলেন, ‘‘সমস্ত অভিযোগ জানিয়েছি রাজ্যপালকে।
তিনি সব শুনেছেন।’’রাজ্যপাল বলেন, ‘‘কয়েকটি এলাকায় দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছি। তথ্য সংগ্রহ করেছি। যা দেখেছি, যা শুনেছি, তা খতিয়ে দেখব। বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে। শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট দেওয়ার অধিকার রয়েছে বাংলার মানুষের। গণতন্ত্রের স্বার্থে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে হবে। সাংবিধানিক ভাবে হিংসাকে নির্মূল করতে হবে। হিংসা কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।’’ভাঙড়ের ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কি কথা হয়েছে রাজ্যপালের? ভাঙড়ে সাংবাদিক বৈঠকে এই প্রশ্নের জবাবে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী আমার সাংবিধানিক সহকর্মী। আমাদের মধ্যে যা কথা, তা বাইরে বলার নয়।’’ রাজ্যপালের ভাঙড় সফরকে ‘সাধুবাদ’ জানালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যপাল যে ভাবে ভাঙড়ে গেলেন, তাঁকে ধন্যবাদ জানাই। এই পদক্ষেপ শুভবার্তা দেয়। রাজ্যপালকে নিশ্চিত করতে হবে যে, বাংলায় নির্ভয়ে ভোটে অংশ নিতে পারবেন সকলে। তা না হলে, মানুষের আসল কাজ হবে না। সন্ত্রাসের বাংলা হয়ে গিয়েছে এখন।’’
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal