দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- অনুমতি না নিয়ে মতুয়া মহাসঙ্ঘের মন্দিরে প্রবেশ করার চেষ্টা করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশের বিরুদ্ধে ‘নিষ্ক্রিয়তা এবং অতিসক্রিয়তা’র অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। সোমবার তিনি নিজেই উচ্চ আদালতে গিয়েছেন।সম্প্রতি তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচি নিয়ে ঠাকুরনগরের মতুয়াধামে এসেছিলেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন তাঁকে সেখানে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তখন সেখানে তৃণমূল–বিজেপি কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি হয় বলেও অভিযোগ। কয়েকশো পুলিশ ফোর্স নিয়ে মতুয়াধামের কাছে মিছিল করতে চেয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু মতুয়া সম্প্রদায় তা করতে দেয়নি বলে মতুয়া অনুগামীদের মারধর করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে তৃণমূলের লোকজন বলে অভিযোগ ওঠে।এই অভিযোগের পরও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে দাবি করেন বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। [/video]বরং পাঁচটি এফআইআর দায়ের করা হয় প্রহৃতদের বিরুদ্ধে এবং বিজেপি’র কিছু কর্মী–সমর্থককে গ্রেফতারও করা হয়। তাই গোটা ঘটনার বিচার চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। আজ, সোমবার তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এই মামলার শুনানি সম্ভবত মঙ্গলবার। পুলিশ এবং অভিষেকের ভূমিকা নিয়ে তিনি হলফনামা দিয়ে বিচার চেয়েছেন বলে খবর।এদিন আদলত চত্বরে দাঁড়িয়ে শান্তনু বলেন, ‘‘গত ১১ জুন যে ঘটনাটি ঘটেছে, তার পিছনে রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, ব্রাত্য বসুরা। এই ঘটনায় পুলিশ আমাদের বিরুদ্ধেই পদক্ষেপ করেছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিনা অনুমতিতে ঠাকুরবাড়িতে ঢুকে ঠাকুরবাড়ির সম্মানহানি করেছেন। মতুয়াদের সম্মানহানি করেছেন।’’