প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- মুখ্যমন্ত্রী চাইলে পঞ্চায়েত ভোটের সমস্ত প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করবে আইএসএফ | বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির মন্তব্যে তীব্র বিতর্ক। সোমবার আইএসএফ বিধায়ক বলেন, “ভাঙড়ের মানুষের নিরাপত্তার থেকে বেশি আর কিছুই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। যেখানে আমার নিরাপত্তা নেই, সেখানে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা থাকবে কীভাবে? তাই মুখ্যমন্ত্রী যদি চান, ভাঙড়ের মানুষের সঙ্গে আলোচনা করে প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করব।” পালটা দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। তাঁর কথায়, “হার নিশ্চিত বুঝে এখন প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের নাটক করছেন।” প্রসঙ্গত, নিরাপত্তা চেয়ে এদিনই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে নওশাদ সিদ্দিকি।
আজ সোমবার নওশাদ সিদ্দিকী সাংবাদিকদের প্রশ্ন উত্তরে বলেন, সিকিউরিটির জন্য আমি প্রথমে রাজ্য সরকারের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছিলাম। রাজ্য সরকার এতদিন আমার নিরাপত্তা দেয়নি ।আমার ওপর যেকোনো সময় প্রাণহানি হামলা হতে পারে ।তাই আমি আজ হাইকোর্ট-এর দ্বারস্থ হতে বাধ্য হলাম।কেন্দ্র সরকারের কাছে আমার নিরাপত্তার জন্য আবেদন করেছি। কিন্তু সেখান থেকেও সদুত্তর না পেয়ে এবার আদালতের কাছে শরণাপন্ন হয়েছি। এদিন নওশাদ সিদ্দিকী বলেন, ভাঙ্গরের মানুষের নিরাপত্তা আগে দরকার সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা যাতে বিঘ্নিত না হয় তার জন্য তিনি মন্ত্রী যদি বলে তাহলে নির্বাচন থেকে প্রার্থীদের নাম প্রত্যাহার করতে পারে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে ভোট প্রক্রিয়া থেকে সরে দাঁড়াতে প্রস্তুত বলে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী এদিন জানান। নওশাদ সিদ্দিকী আরও বলেন,এর আগে আমার ওপর যারা ভাষাগত আক্রমণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকম আক্রমণ চালিয়েছে, তারাই আমার উপর আক্রমণ করতে পারে।