Breaking News

রাজ্যপাল-নির্বাচন কমিশন দ্বন্দ্ব! ‘সিস্টেম মেনে নিয়োগ হয়েছে, উপর থেকে চাপ দেওয়া হয়নি’, রাজীবের পাশে দাঁড়ালেন মমতা

প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- রাজভবন-রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরোধ নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের জয়েনিং লেটার ফেরত পাঠানোর ঘটনা ‘নজিরবিহীন’, বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাটনায় বিরোধীদের বৈঠকে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার উড়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের পাশে দাঁড়ালেন তিনি। জানিয়ে গেলেন, “রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সাংবিধানিক পদ। তাঁকে সরাতে হলে ইমপিচমেন্ট করতে হয়।”মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, এমন কোনও ঘটনা অতীতে কখনও হয়নি। এমন কিছু হওয়া নজিরবিহীন বলেই মনে করছেন তিনি। মমতার দাবি, রাজ্যপাল ফাইল পাশ করেছিলেন। উপর থেকে চাপিয়ে দেওয়ার মতো কোনও ঘটনা ঘটেনি বলেই দাবি মুখ্যমন্ত্রীর। মমতার কথায়, রাজ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে যাবতীয় প্রক্রিয়া ‘সিস্টেম অনুযায়ীই’ হয়েছে। তাঁর সাফ কথা, নির্বাচন কমিশনারকে দায়িত্ব থেকে সরাতে হলে, বিচারপতিদের যেমন ইমপিচমেন্টের পদ্ধতি রয়েছে, সেই ইমপিচমেন্ট পদ্ধতিতে কমিশনারকে সরাতে হবে। পাটনা যাওয়ার আগে এদিন বিমানবন্দর চত্বরে মমতা বেশ দৃঢ়ভাবে বলে গেলেন, ‘এগুলি জীবনে হয়নি। এগুলি নজিরবিহীন। এটা একটা সাংবিধানিক পদ। তাঁকে শপথ নিতে হয়। উনি ফাইল ক্লিয়ার করেছিলেন।’

রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগ ঘিরে নতুন করে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য স্বাভাবিকভাবেই যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।উল্লেখ্য, এদিন হাইকোর্টে বিচারপতি অমৃতা সিনহার একক বেঞ্চেও রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের জয়েনিং রিপোর্ট ফেরত চাওয়ার প্রসঙ্গটি উঠেছিল। বিচারপতি এই বিষয়ে জানতে চেয়েছিলেন। কমিশনার আদৌ দায়িত্বে আছেন কি না, তা জানতে চেয়েছিলেন বিচারপতি সিনহা। জবাবে কমিশনের তরফে বলা হয়েছিল, তিনি দায়িত্বে আছেন এবং যা শোনা যাচ্ছে সেটা কেবলই জল্পনা ছাড়া আর কিছু নয়। এদিকে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে যখন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তখন রাজ্যপালের গলায় কমিশনারের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ ফুটে উঠেছিল।
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *