দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- প্রার্থীদের নথি বিকৃত করার অভিযোগ উঠেছিল উলুবেড়িয়ার এক নম্বর ব্লকের বিডিও নীলাদ্রিশেখর দে-র বিরুদ্ধে। পঞ্চায়েত মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। সেই নির্দেশ অন্তবর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিলেন বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অপূর্ব রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। শুক্রবার এই মামলার শুনানি শেষ হল। রায়দান আগামী সোমবার।হাওড়ার উলুবেড়িয়ার ১ নম্বর ব্লকের বহিরা এবং ধূলিসামলি পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রার্থী কাশ্মীরা বেগম খান ও তনুজা বেগম মল্লিক মনোনয়নপত্র বিকৃতির অভিযোগ তোলেন। দু’জনের দাবি, ওবিসি হওয়া সত্ত্বেও মনোনয়নপত্রের চেকলিস্টে জাতিগত শংসাপত্রের জায়গায় তার উল্লেখ করেননি ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক বা বিডিও।
তাঁরা মনে করেন, নির্বাচনী নথি বিকৃতির ফলে তাঁদের মনোনয়নপত্র স্ক্রুটিনিতে বাদ পড়ে গিয়েছে। বিডিওর কাছে সেই অভিযোগ জানাতে যান তাঁরা। তবে বিডিও অভিযোগ নেননি বলেই দাবি। আর তারপরই এই অভিযোগের জল গড়ায় কলকাতা হাই কোর্টে।বিচারপতি সিনহার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য় বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করে। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে সওয়াল করেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, আগামী সোমবার এই মামলার রায় দান। ততদিন পর্যন্ত সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে অন্তবর্তীকালীন স্থগিতাদেশ থাকবে।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal