প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- দক্ষিণ কলকাতার বিজয়গড়ের এক নির্মীয়মাণ বাড়ির সামনে থেকে উদ্ধার হল এক যুবকের রক্তাক্ত দেহ। শুক্রবার সকালে দেহটি উদ্ধার হয়। এলাকার লোকজনই দেহ পড়ে থাকতে দেখেন ওই রাস্তায়। খবর দেওয়া হয় গলফগ্রিন থানায়। পরে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এটি খুনের ঘটনা। তবে সবটাই তদন্তসাপেক্ষ। ওই যুবকের পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। এলাকার লোকজনের কথায়, সকাল থেকে অনেকেই এসেছেন। তবে ছেলেটিকে কেউই শনাক্ত করতে পারেননি। তাঁদের অনুমান, বাইরে থেকে মেরে এখানে ফেলে রাখা হয়েছে দেহটি। তবে পুলিশ দুর্ঘটনার দিকটিও মাথায় রেখেই তদন্ত করছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই যুবকের দেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।স্থানীয় সূত্রে খবর, আজ শুক্রবার সকালে এলাকার একটি বাড়ির সামনে ওই যুবকের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
তাঁর দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দারাই এই দৃশ্য দেখে গল্ফগ্রিন থানায় খবর দেন। তারপরই ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে দেহ উদ্ধার করে। আর সেই যুবকের দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে। এই খুনের কারণ এখন খুঁজছে পুলিশ। যদিও এখনও মৃত যুবকের নাম–পরিচয় জানা যায়নি। ওই যুবকের পরনে ছিল হাফপ্যান্ট। ফাঁকা জায়গায় হাফপ্যান্ট এবং খালি গায়ে দেহ পড়ে ছিল। আর ওই যুবকের গলায়, মাথায় আঘাত রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে খুন বলেই মনে করছে পুলিশ।পুলিশ সূত্রে খবর, এই যুবক এলাকার নয়। তাহলে কেউ না কেউ চিনতে পারত। এই যুবককে অন্য কোথাও খুন করে রাতের অন্ধকারে দেহ এই জায়গায় ফেলে দিয়ে গিয়েছে কেউ বা কারা। তবে আশপাশের এলাকায় কোনও যুবক নিখোঁজ আছেন কিনা সেটার খোঁজ করা হচ্ছে। ওই ব্যক্তির পরিচয় জানার কাজ শুরু হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে গোটা বিষয়টি পরিষ্কার বোঝা যাবে। খুনের সন্দেহকে সামনে রেখেই তদন্ত শুরু হয়েছে।