দেবাশীষ পাল :- আগামী ৮ জুলাই রাজ্যে এক দফায় হতে চলেছে ভোট। শেষ হয়েছে মনোনয়ন পর্ব। তবে এরই মধ্যে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে শক্তিক্ষয় শাসকদলের।পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন প্রক্রিয়া শেষ হতেই মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে তৃণমূলে ভাঙন অব্যাহত।বিদায়ী জেলা পরিষদের সদ্যসা মমতাজ বেগমের কংগ্রেসে যোগদানের পর এবার যোগদান করলেন তৃণমূলের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক,ব্লক সম্পাদক ও
বুথ সভাপতি সহ হাজারেরও বেশি নেতা কর্মী।
জানা যায়,শুক্রবার সকাল এগারোটা নাগাদ হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের মালিওর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর তালসুর গ্রামে কংগ্রেস এক যোগদান সভার আয়োজন করেন।ওই যোগদান সভায় রাজ্য প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সদস্য মোস্তাক আলমের হাত ধরে জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তথা প্রাক্তন ব্লক সভাপতি মহম্মদ হজরত আলী,ব্লক সম্পাদক পবন পাশওয়ান ও বুথ সভাপতি আব্দুল হান্নান সহ প্রায় এক হাজারেরও বেশি শাসকদলের নেতা কর্মী কংগ্রেসে যোগদান করেন বলে খবর।এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই পঞ্চায়েত ভোটের আগে হরিশ্চন্দ্রপুর বিধানসভায় কংগ্রেসের শক্তি বৃদ্ধি হল।যদিও তা মানতে রাজি নন তৃণমূল কংগ্রেস।তবে কংগ্রেসের দাবি,‘তৃণমূল এখন ক্ষয়িষ্ণু দলে পরিণত হয়েছে।’জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ হজরত আলী বলেন,’আমি অবসরপ্রাপ্ত একজন শিক্ষক,দলের কথামতো দুর্নীতি করতে পারিনি,তোলাবাজি করতে পারিনি এবং প্রার্থীদের কাছ থেকে তোলাবাজি করে দলকে টাকা পৌঁছে দিতে পারিনি বলে দল আমাকে পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে।’বুথ সভাপতি আব্দুল হান্নান বলেন,’তৃণমূল একটি দুর্নীতিগ্রস্ত দল।এই দলে ঘুষ ছাড়া কোন কাজ হয় না।পঞ্চায়েতে প্রার্থী হতে গেলে লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ দিতে হয়। তৃণমূলের প্রতি ঘৃণা জন্মে গেছে।তাই বাধ্য হয়ে তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান করলাম।’এই যোগদানের ফলে মালদহে ভোটের আগে এক ধাক্কায় আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়ে গেল হাত শিবিরের কর্মীদের।