প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- চিকিৎসক প্রজ্ঞাদীপা হালদারের মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর সঙ্গী সেনাবাহিনীর চিকিৎসক কৌশিক সর্বাধিকারীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শুক্রবার সকালে বারাকপুরের ক্যান্টনমেন্ট এলাকা থেকে পুলিশ কৌশিককে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। চিকিৎসক প্রজ্ঞাদীপা হালদারের মৃত্যুর ঘটনায় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই এই পদক্ষেপ করল পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রজ্ঞাদীপার শরীরে অসংখ্য আঘাতের দাগ রয়েছে। ওই আঘাতগুলি মৃত্যুর আগেই তৈরি হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে ওই চিকিৎসকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে আত্মহত্যা বলে মনে করেছিল পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এবং সুইসাইড নোট পাওয়ার পরেই পুলিশ অনেকটাই নিশ্চিত হয় যে, এই মৃত্যুর ঘটনায় প্ররোচনা রয়েছে।গত সোমবার ব্যারাকপুর সেনাছাউনির অফিসার্স কোয়ার্টার্স ‘ম্যান্ডেলা হাউস’-এর ২০ নম্বর ফ্ল্যাটের একটি ঘর থেকে ৩৭ বছরের প্রজ্ঞাদীপার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। দেহের পাশেই উদ্ধার হয়েছিল সুইসাইড নোট। ছেঁড়া পাতায় নীল কালিতে তাতে লেখা ছিল, ‘‘যে প্রহারের দাগ নিয়ে চলে গেলাম / এর শোধ কেউ নেবে। / আমার মৃত্যুর জন্য কৌশিক দায়ী।’’ প্রজ্ঞাদীপার মাসতুতো দাদা কুমারশঙ্কর দাস মঙ্গলবার পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন। তার ভিত্তিতেই তদন্তে নামে পুলিশ।
প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করেছিল, আত্মহত্যা করেছেন প্রজ্ঞাদীপা।বৃহস্পতিবার চিকিৎসকের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, প্রজ্ঞাদীপার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। সেগুলি মৃত্যুর অব্যবহিত আগের বলেই প্রাথমিক ভাবে মনে করছেন তদন্তকারীরা। যে ঘর থেকে ওই চিকিৎসকের ঝুলন্ত দেহ পাওয়া গিয়েছিল, সেখানে জিনিসপত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল। বিছানার পাশেই টেবিলের উপরে রাখা ছিল মদের বোতল, কাচের গ্লাস। গ্লাসে তখনও ছিল পানীয়। বালিশ, বিছানা লন্ডভন্ড ছিল। মেঝেতে জিনিসপত্র ছড়িয়ে পড়ে ছিল। তরুণীর সঙ্গী মদ্যপান করে মারধর, যৌন নির্যাতন করেছিলেন কি না, সেই প্রশ্নও উঠেছে। চিকিৎসকের মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধন্দ তৈরি হয় পুলিশের মনে।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal