Breaking News

রাজ্যসভার নিশ্চিত আসনে প্রার্থী নিয়ে মতপার্থক্য বঙ্গ বিজেপিতে!বিজেপির অন্দরে এখন মিঠুন–স্বপন–অনির্বাণের লড়াই তুঙ্গে

দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- রাজ্যসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। আগামী ২৪ জুলাই রাজ্যে মোট ছ’‌টি আসনে ভোট হবে। একটি আসনে উপনির্বাচন হবে। ওই দিনই হবে ভোট গণনা। কিন্তু রাজ্যসভায় যাওয়া নিয়ে এখন বিজেপির অন্দরে চরমে উঠেছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। কারণ এই রাজ্যসভার টিকিট পেতে চান মিঠুন চক্রবর্তী এবং স্বপন দাশগুপ্ত। আর তাই নিয়ে এখন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। সমস্যাটি হল—এখানে একটি আসন। আর তিনটি গোষ্ঠী। ফলে টিকিট কে পাবেন?‌ তা এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।বঙ্গ বিজেপিতে এখন তিনটি গোষ্ঠী। একটি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর, একটি রা‌জ‌্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের এবং তৃতীয়টি প্রাক্তন রাজ‌্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। শুভেন্দুর গোষ্ঠীতে রয়েছেন মূলত দলবদলুরা। সুকান্তর গোষ্ঠীতে আছেন সংঘপন্থী নব‌্য বিজেপিরা। আপাতত দলে কোণঠাসা আদি বিজেপিরা রয়েছেন দিলীপের গোষ্ঠীতে। রাজ‌্যসভার নিশ্চিত আসনটির জন‌্য রাজ‌্য বিজেপিতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ফের তীব্র। এই আসনটির অন‌্যতম দাবিদার সুবক্তা, শিক্ষাবিদ ও প্রাক্তন সাংবাদিক স্বপন দাশগুপ্ত। কিন্তু তাঁকে আটকাতে মাঠে নেমেছেন দলবদলু অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। আর মিঠুনের হয়ে বিভিন্ন মহলে তদ্বির করছেন স্বয়ং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী |এখন এই টিকিট পেয়ে রাজ্যসভায় যেতে মরিয়া স্বপন দাশগুপ্ত। তিনি আগেও রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন। তিনি আবার অমিত শাহের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। তাছাড়া নয়াদিল্লির নেতাদের সঙ্গে ভাল হাত রয়েছে। তাছাড়া তিনি এখন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের গোষ্ঠীতে আছেন। সেখানে মিঠুন চক্রবর্তীও চান রাজ্যসভায় যেতে। তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে আগে রাজ্যসভায় গিয়েছিলেন। একুশের নির্বাচনের প্রাক্কালে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন এবং প্রচার করেন। তিনি আবার শুভেন্দু অধিকারীর গোষ্ঠীতে আছেন। তাই তাঁর হয়ে নয়াদিল্লিতে দরবার করে এসেছেন বিরোধী দলনেতা।তৃতীয় নামটি হল অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ গোষ্ঠীর লোক।

বোলপুর বিধানসভা থেকে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে হেরেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের চন্দ্রনাথ সিনহার কাছে। তারপর থেকে বাংলায় খুব একটা দেখা যায়নি। এখানে এসেছিলেন বটে। তবে খুব কম। নয়াদিল্লির কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে তাঁর সখ্যতা রয়েছে। তাই তিনি এবার যেতে চান বিজেপির টিকিটে রাজ্যসভায়। সংঘ পরিবারের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় তাঁর নামে সুপারিশ করেছেন কয়েকজন। একটি আসনে জেতার মতো পর্যাপ্ত আসন আছে গেরুয়া শিবিরের হাতে।
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *