দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- শুক্রবার সাড়ে ১১টার মধ্যে তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। এদিন নির্ধারিত সময়ের সামান্য আগেই সেখানে পৌঁছন তিনি। ইডির দফতরে ঢোকার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তৃণমূলের যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষ বলেন, ‘‘আমি প্রচারের কাজে ব্যস্ত ছিলাম। আমাকে ৪৮ ঘণ্টার নোটিসে ইডি ডেকেছে। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে সশরীরে উপস্থিত হয়েছি। আমি তদন্তে ১০০ শতাংশ সহযোগিতা করব।’’এদিন তাঁর পরণে ছিল অফ হোয়াইট সালোয়ার কুর্তা, সাদা ওড়না। উঁচু করে বাঁধা চুল। সূত্রের খবর, সায়নীকে একাধিক নথি নিয়ে এদিন ইডি দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়।
তিনি সেসব নথি সঙ্গে এনেছেন কি না তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কোনও জবাব তিনি দেননি। একইসঙ্গে কুন্তল ঘোষের সঙ্গে যে যোগাযোগের অভিযোগে সায়নী ঘোষকে এদিন ডাকা হয়েছে, তা নিয়েও কোনও কথা তিনি বলেননি।সূত্রের খবর, সায়নী জেরায় চার পাতার প্রশ্নমালা সাজিয়েছে ইডি। তদন্তকারীদের দলে রয়েছেন মহিলা আধিকারিকও। গত ১০ বছরের আয়কর সংক্রান্ত নিয়ে আসতে বলা হয় সায়নীকে।রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ মামলায় ইডির নজরে কীভাবে এলেন যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী? ইডি সূত্রে খবর, রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে ধৃত তথা তৃণমূলের বহিষ্কৃত যুবনেতা কুন্তল ঘোষের সূত্র ধরেই উঠে এসেছে সায়নীর নাম। কুন্তলের সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত করার সময় সায়নীর নাম উঠে এসেছে বলে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে। আর সেই বিষয়েই যুব তৃণমূলের সভানেত্রীকে ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করছে বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর। জিজ্ঞাসাবাদের পর কী তথ্য সামনে আসে, সেটাই এখন দেখার।