Breaking News

“এখনও সময় আছে রাজধর্ম পালন করুন”রাজীবকে হুঁশিয়ারি রাজ্যপালের!মুরোদ থাকলে ভোটে দাঁড়ান’, রাজ্যপালকে চ্যালেঞ্জ তৃণমূলের

প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- নির্বাচনের ২ দিন আগে বৃহস্পতিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে কার্যত বেনজির ভাষায় ভর্ৎসনা করলেন রাজ্যপাল। কখনও মহাভারত, কখনও শেক্সপিয়ার, কখনও টি এন সেশন, কখনও স্বামী বিবেকানন্দ। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হিসাবে ‘রাজধর্ম’ পালনে রাজীব সিনহা কতটা ব্যর্থ, বোঝাতে উপরের সকলের মন্তব্য উদ্ধৃত করেছেন রাজ্যপাল।বৃহস্পতিবার ফের একবার রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে আক্রমণ শানাল তৃণমূল। বিজেপির হয়ে কাজ করছেন এই অভিযোগ তুলে রাজ্যপালকে সরাসরি ভোটে দাঁড়ানোর পরামর্শ দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘন্ট ঘোষণার পর থেকে রাজ্যে একাধিক হিংসার ঘটনা ঘটেছে। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস নিজে উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ, বিভিন্ন জেলায় হিংসা কবলিত এলাকায় সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে নিশানা করেছেন তিনি। হিংসা ও মৃত্যু রুখতে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ বলে তোপ দেগেছেন সিভি আনন্দ বোস। তিনি বলেন, ‘রাজ্য নির্বাচন কমিশনার আপনি আপনার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ। আমি আপনাকে নিয়োগ করেছিলাম। কিন্তু আপনি রাজ্যবাসীকে হতাশ করেছেন।’মনোনয়ন পর্ব শুরু হওয়ার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় প্রাণহানি, রক্তপাত, বোমাবাজি, সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সেই আবহেই ভোটের ঠিক দু’দিন আগে কমিশনারকে হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, ‘‘আগুন নিয়ে খেলা হচ্ছে। রক্ত নিয়ে খেলা হচ্ছে। মানুষের জীবন নিয়ে খেলা হচ্ছে। মানুষের অসহায়তা দেখেছি। চোখের জল দেখেছি। পিতৃহারা শিশুর কান্না দেখেছি।

এই রাজনৈতিক হিংসা বন্ধ হওয়া উচিত।’’ এর পরেই শেক্সপিয়রের ‘ম্যাকবেথের’ প্রসঙ্গ তুলে ধরেন রাজ্যপাল। রাজীবের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘সঠিক পদক্ষেপ করতে যদি ব্যর্থ হন, তা হলে আরবের সমস্ত সুগন্ধী আপনার ছোট হাতকে মিষ্ট করবে না। পবিত্র গঙ্গার জলে আপনার হাতের রক্ত ধোয়া যাবে না।’রাজ্যপালের এই মন্তব্যের পরেই সিভি আনন্দ বোসকে নিশানা করেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘রাজ্যপাল বিজেপি-র দালাল, বিজেপি-র এজেন্ট। রাজ্যপালের কিছু মনে হলে তিনি কমিশবকে চিঠি দিতে পারেন, রিপোর্ট পাঠাতে পারেন দিল্লিতে। তা না করে, ভোটের প্রচারের শেষ দিনে, সব দল যখন শেষ মুহূর্তের প্রচারে ব্যস্ত, উনি বিজেপি-র হয়ে প্রচার করলেন। উনি যে রাজনীতি করছেন, তা আরও একবার প্রমাণিত হল। উনি যে প্রবচন দিলেন আজ, তাতে আশারাম বাপুর মতো ওঁকে আনন্দরাম বাপু বলতে ইচ্ছে করছে। রাজনীতিই করছেন যখন, ভোটে দাঁড়ালেন না কেন?’
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *