দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :-পাটনার পর এবার বেঙ্গালুরু। বিরোধী জোটের দ্বিতীয় বৈঠকেও অংশ নেবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি হিসেবে পাটনার পর আগামী ১৭ ও ১৮ জুলাই বেঙ্গালুরুতে বসতে চলেছে বিরোধীদের দ্বিতীয় বৈঠক। পায়ে চোট নিয়েও সেই বৈঠকে হাজির থাকবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারের বৈঠকেও মমতার সঙ্গী হচ্ছেন অভিষেক। তবে, সোনিয়ার ডাকা নৈশভোজে উপস্থিত নাও থাকতে পারেন তৃণমূল সুপ্রিমো। গত ২৩ জুন পাটনায় বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ডাকা বৈঠকে হাজির ছিলেন মমতা। সেই সময় তৃণমূল সুপ্রিমোর সঙ্গী হয়েছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। এবারও তার পরিবর্তন হচ্ছে না। সূত্রের খবর, আগামী ১৭ জুলাই বেঙ্গালুরুর উদ্দেশে রওনা দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই দিনই কংগ্রেসের তরফে বিরোধীদের জন্য বিশেষ নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছে। সেই ভোজেও যোগ দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।অন্যদিকে এই দ্বিতীয় দফার বৈঠকে থাকছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সেটা দুটো কারণে। এক, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ে চোট আছে। সেই অবস্থায় তিনি যাবেন। তাই পাশে থাকা। দুই, তাঁরও কিছু বার্তা দেওয়ার আছে। সেখানে উঠে আসতে পারে বাংলার কংগ্রেসের ভূমিকাও। আগের বিরোধীদের বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘আমি পাটনায় মিটিং করতে বলেছিলাম, কারণ পাটনা থেকে যা শুরু হয় সেটা একটি আন্দোলনের রূপ নেয়। আমরা ঐক্যবদ্ধ এবং একসঙ্গে লড়ব। আমাদের বিরোধী বলবেন না। আমরাও এই দেশের নাগরিক। আমরাও দেশপ্রেমিক |’প্রসঙ্গত, মমতার পরবর্তী তৃণমূলের হাল ধরার জন্য কে রয়েছেন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। অভিষেক ও ফিরহাদ হাকিমের মতো নেতাদের নাম তুলেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া, অভিষেক দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সেই কারণে এখন থেকেই জাতীয় রাজনীতিতে অভিষেককে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন মমতা, এমটাই মত ওয়াকিবহল মহলের।